আমি চাই দাবানলের ফুটন্ত অনলে গাহন করিতে,
যেখানে পঙ্কিলতার পর্বত পুড়ে ছাই হয় ক্ষণ মূহুর্তে।
যেতে চাই আমি মহা-গগনের নীলাভ্র নীলে,
যেথায় মুক্ত বলাকা উড়ে স্বাধীনে,উড়ে অসংখ্য চিলে।


যেখানে বাসে নিষ্পাপ শিশু,স্বর্গীয় সব প্রাণ,
যেখানে বাঁচে অনন্তকাল,রয়ে যায় অম্লান।
চায়না পুড়িতে এই বিষাক্ত পবনে,মিথ্যাচারের আগুনে,
উচ্ছৃঙ্খলতার জঞ্জাল ছেড়ে যেতে চাই কোনো বনে।


আমি যেতে চাই সদা এমনই কোনোখানে,
যেখানে কভু দলিবেনা জীবন,দুঃখভরা অপমানে।
থাকিবেনা যেথায় রিপুর বসতি,
আসিবেনা কোনো বিধ্বংসী অরাতি।


আমি হারাতে চাই ঐ দূর অজানার,বিষণ্ণ মায়ার দেশে,
ছুটিতে চাহি কালবৈশাখীর মত,দুরন্ত ঝড়ের বেশে।
কালো মেঘেরা যেমন,ছুটে যায় সদা দূর থেকে বহুদূরে,
তেমনি এই দগ্ধ হিয়া হারাতে চায়,রোজ হারানোর নীড়ে।


পেতে চাই আমি এমনই কোনো স্থান নতুবা বিজন,
যেখানে মিলিবে অগণিত আঁধার অথবা ঘন গর্জন।
মিশিয়াছে যেথায় গগনের তনু,ক্রন্দসীর কলেবর,
জীবনের তরে করিয়াছে সন্ধি,শত কল্লোলিত সরোবর।


আমি যেতে চাই,মহাকান্তের সেই নন্দিত মহীধরে,
যেখানে মিলিবে অশেষ দ্যুতি,এই নভাকি হৃদয় গভীরে।
থাকিবেনা সেথায় পুঞ্জিত হেলা,প্রতারণার ঘনঘটা।
যেখানে সবাই সম,যেখানে নেই অনৈক্যের ছিটেফোঁটা।


যেখানে ফুটিবে প্রতিনিয়ত সদা,সোনালী সুখের দিন,
যেখানে মানব করিবেনা রোদন,থাকিবেনা কভু মলিন।
যে দেশে,হাজার ভুলের পরেও মানুষ,ফিরে পায় নব্য জীবন,
যে দেশে,শত সহস্র যুগ পরেও হয়,হারানো প্রিয়ার মিলন।


যেতে চাই শপ্ততলের নির্জনভূমে,ছলনাহীন নিকেতনে,
যেখানে সুবাস ভাসে দখিণা হাওয়ায়,স্নিগ্ধ সমীরণে।
আমি যেতে চাই সাগরতলের,অবিরত ঢেউয়ের বাঁকে,
যেখানে রহে গুনে যাব দিন,বিদায়ের ছবি এঁকে।