এসেছিলে যবে বসুধার মাঝে
ফুটেছিল হাজার ফুল,
গ্রীষ্মের প্রখরেও যেন আসিল ফাগুন
ফুটিল চৌদিকে বসন্ত মুকুল।


তীব্র অমাবশ্যায়ও যেন তুমি
বিক্ষিপ্ত চাঁদের রোশন,
খুশির বানে ভরেছিল গাঙ্
বহিল সুগন্ধি উত্তরী পবন।


তোমার ঐ নম্র নেত্রপাতে
মাতিল সেদিন সারা বাটী,
নিষ্প্রভ সেই রক্ত জবারা
পেয়েছিল জীয়ন কাঠি।


আগমনে তোমার নামিয়াছে ঢল,
জোয়ারিত মধুমতীর আড়বি,
তোমার লাগিয়া ফুটিয়াছে দেখো,
ঐ পথের ধারে করবী।


দেখিতে দেখিতে এই হল তোমার
উনিশ বছরের দাঁড়ি,
করি আশির্বাদ,তুমি দীর্ঘজীবী হও,
দাও সুদীর্ঘ পথ পাড়ি।


চির সুখী হও ধরনীর মাঝে
পরকালে হও জান্নাতি,
পুড়িওনা কভু শোকের অনলে
এই আমার আরতি।


সিয়াম সাধনায় করে যাই দোয়া
তোমারই জন্মদিনে,
সুখের সাগরে রাখুক তোমায় খোদা
আমার এই ইবাদতের প্রতিদানে।


যাই চলে যদি অমোঘের দেশে
অনন্তকালের গহ্বরে,
ভেবে নিও তুমি রচিতেছি গীতি,
করিতেছি উইশ তোমার প্রতি
চির শয়নে আঁধারিত কবরে।