১৪ মানে সহস্র নক্ষত্র মাঝে তোমায় খুঁজে পাওয়া,
শুন্য হৃদয়ে,রিক্ত বদনে
প্রাণ ফিরিয়া পাওয়া।
১৪ হলো নিরবচ্ছিন্ন বাঁধন,বন্ধুত্বের পরিচয়,
কণ্টকাকীর্ণ বসুধার মাঝে
অটুট মিলনে কভু হারাবার নয়।
১৪ মানে লুকোচুরি খেলা সকল কর্ম ছাড়ি,
নিরবতা ভেঙ্গে মহোল্লাসেে মাতা
নব্য জীবনের তরী।
১৪ হলো গহীনারণ্যে ফুটে ওঠা কোনো
স্বর্গীয় সুমন ঘ্রাণ,
বসন্তের সাজানো তরুর মাঝে গাওয়া
বসন্তী পাকের কুহুতান।


এ দিনে আমার অবুঝ হৃদয়ের প্রথম তরঙ্গধ্বনি,
ভেবেছিনু আমি এই বুঝি মোর
শুন্য জীবনের অনৈক্য বন্ধনী।
এ দিন হলো গ্রীষ্মের রৌদ্র প্রখরে
তৃষ্ণার্ত মনের জল,
খরতাপে পোড়া অবারিত মাঠের
আশা জাগানিয়া বিপ্লাব।
১৪ হলো দেহ জ্বলানো গরম দুপুরে
মিষ্ট হিমেল হাওয়া,
শরতের নীলাকাশে মুক্ত বলাকার মত
আগামীর পথে ধাওয়া


১৪ আসিলে কলেবরে পাই
নতুন প্রাণের সঞ্চার,
১৪ আসিলে ভরে যায় নীরে
জলধি সরোবর।
১৪ আমার স্মৃতির চরণে অমর কাব্য গাঁথা,
এ দিবসে মনের গভীরে শোকানল বহে,
তিলে তিলে জমে অবিনাশী কত ব্যথা।
১৪ আসে স্মরিয়ে দিতে মোর
পইলা প্রেমের লগ্ন,
সখীর স্মরণে,তোমার বিহনে
হয় যে আমার আহত হৃদয় ভগ্ন।
এ দিন আসিলে ক্ষুদ্র এ মন
ডাকিয়া তোমায়  কয় ওগো,
এসোনা আরেকটিবার,
সকল ক্ষোভের অবসানে চলো
ঘর বাঁধি পুনর্বার।