হতাম যদি আমি
প্রজাপতির মতো
ফুলের উপর বসিয়া ঘ্রান
নিতাম ইচ্ছে মতো ।
পাখির মতো থাকলে ডানা
কোথাও যেতে থাকতো না মানা
উড়তাম ইচ্ছে মতো
দেশ হতে দেশান্তরে
যেতাম আমি আকাশ পানে
কতই মজা হতো ।
বৃক্ষ হলে ছায়া ফেলে
ক্লান্তি করতাম দুর
পাখিরা সব ঝাক বেঁধেে
আমারই শাখায় প রেখে
ডাকতো করুন সুর ।
ফুল বাগানের ফুল হলে
মালি আমাকে নিতো তুলে
গাথতো গলার মালা
পড়তো আবার চুলের খোপায়
ধরতো কেহ নাকের ডগায়
কারো হতো প্রেমের পালা ।
ফসল যদি হতাম আমি
সবার কাছে থাকতো দামী
কৃষক পেত উপকার
আদর করে তুলতো ঘরে
হাট বাজারে বিক্রি করে
চালাতো সংসার ।
যদি হতাম শিশির কনা
গড়তাম আমি আলপনা
দূর্বা ঘাসের পড়ে
ঠান্ডা হিমেল বাতাসে
প্রকুতির ঐ সুভাসে
ফুলে ফলে যেত ভরে ।
রিমঝিম জিম বৃষ্টি হলে
পরতাম আমি তালে তালে
দিনে রাঁতে সাঁঝে
টিনের চালে শব্দ করে
কলা পাতা ফরফরাইয়ে
কত ব্যাঙ ডাকতে খালে ।
নদী ভরা জল হলে পড়ে
নাও ভাসাতো পাল তুলে
গাইতো মাঝি গান
এপাড় হতে ওপাড় যেত
মাছি ধরিতে জাল ফেলাতো
সবাই করতো স্লান ।
অন্য কিছু হয়েছি হায় !
কষ্ট আমার সর্বদায়
হয়নী জীবন ধন্য
পালিয়ে গেছে সব সুখ
চোখের জলে ভেসেছে বুক
ভাগ্য আমার শূন্য ।