সেদিন দুপুরে মিষ্টি প্রখরে
ঘুরে ছিলাম কাজের ফাকে
দু নয়নের ছোট্রদ্বারে দেখিলাম
এক অবলাকে ।


তপ্ত হলো হৃদয় আমার
কত হলো অভিলাষ
যথা সময়ে ঐ রমনী
আমারে করেছে গ্রাস ।


দেখেছিলুম আমি তার মুখের
ওষ্ঠ ভরা হাসি
তিমির রাত্রিতে হাসিলে তবে
পালিয়ে যেত নিশি ।


তার-ই কথা ভেবে আজ
হয়ে যাই আনমনা
স্বীয়-স্থানে রং তুলিতে
একে যাই আলপনা ।


রমনী নয় কমনী নয়
যেন বাগিচার ফুল
কামিনী নয় ভামিনী নয়
যেন সিন্ধু পাড়ের সে কূল ।


বিহঙ্গ ডেকে ঐ কাননে
দিয়ে যায় তার ভাষন
তীব্র গতিতে পবন ছুটে
বলে যায় তার বচন ।


তার লাবণ্য হার মানিবে
লক্ষী স্বরসতী
করতালিতে করিবে ষশ
সমগ্র বসুমতি ।


হৃয়য়ের অলি ঝাক বাঁধিয়ে
করে যায় উল্লাস
উদ্ভাসিত মুখেটি দেখে
হয়েছি আমি গ্রাস ।


যেদিকে যাই ছায়া হয়ে সে
ভেসে আসে মোর অক্ষে
উঠেছে হিল্লোল মন অনর্বে
ঘুর পাক খায় বক্ষে ।


তারে জন্য ব্যাকুল হলেম
হলেম আজ আধা মরা
হারিয়ে গেল কোথায় সে আজ
আমার মনঃচোরা ।


গহীন অরণ্যে হারিয়ে গেল
হলো না আর দেখা তার
একাকী জীবন করিয়া আমায়
মানালো আমায় হার ।


হার মানিয়ে উন্মাদের ন্যায়
কেটে যায় দিন রাঁত
শূন্যতায় ভুগিয়া আমি
হয়েছি কুপোকাত ।


আজ ও ভাবি হয়তো একদিন
আবার আসিবে ফিরে
ঘোমটা পরে রাঙা হস্তে
আমারী ছোট্র নীড়ে ।