পশ্চিম গগনে কালো মেঘে
হয়েছে অন্ধকার
চক্ষু মিলিয়ে তাকিয়ে দেখি
সবই যেন একাকার ।
আমি বসেছি জানালার পাশে
দেখে যাই মেঘের খেলা
কেমন করে কালো ধোয়ায়
করে দেয় সন্ধা বেলা ।
উড়েছে মেঘ উড়েছে ধুলা
উড়ে যায় পাকির ঝাক
নীড়ের খোজে এলো মেলো ছুটে
কানা বক, দাঁড়কাক ।
রাখাল ছেলে তাড়া করেছে
গরু বাছুরের পাল লয়ে
বাহুর জোরে দাড় টেনে আসে
ভয়কাতুরে নায়ে ।
পদ্মা পারে বাড়ি আমার
দেখে যাই নদীর ঢেউ
দমকা হাওয়ায় দুলেছে নৌকা
ঘাটে বসে নেই কেউ ।
হঠাৎ করে ঝাকুনী দিয়ে
উঠে এলো কালো ঝড়
বাতাসের জোড়ে টিনের চালা
কেঁপে উঠে তরতর ।
আমি একেলা জড়োসড়ো হয়ে
দেখে যাই ঝড়ের লীলা
সুপারী গাছ আর বাঁশ ঝাড় যেন
মাটির সাথে করে খেলা।
শোঁ শোঁ করে বইছে হাওয়া
সাথে হয় বজ্রপাত
প্রবল বর্ষনে ঝড়ের কাঁপনে
লোকালয়ে করে আঘাৎ ।
ঝড় বাতাসে কালো আকাশে
দেখা যায়না কিছু
ঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টি
নিয়েছে আরো পিছু ।
মাঠ ভরা ক্ষেত তলিয়ে গেল
ধ্বংশ হল সবই
কারো কাছে চাহিবো মোরা
ক্ষতি পূরুনের দাবী ।
ঝড়ের আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন
হয়ে যায় গাছ পালা
ডুবে গিয়েছে শিলা পাথরে
পথ ঘাট আর নালা ।
ঝড়ের শেষে বাহিরে এসে
দেখি দুচোখ মেলে
বালতি করে শিল ধরেছে
ছোট্র ছেলে মেয়ে ।
বোকার মত তাকিয়ে কৃষক
গড়ায় চোখের জল
এক নিমিষে শেষ হইল
সোনার মত ফসল ।
কত স্বপন ছিল তাদের
সোনার ফসল দিয়ে
মহা আনন্দে কাটিয়ে দিবে
পরিবারের সবার নিয়ে ।
এমন দূঃখে নামিয়ে দিল
কাল বৈশাখী ঝড়
খোলা আকাশে ঠাই করালো
ধ্বংশ করিলো ঘর ।