পুরুষ তুমি নির্যাতিত অবহেলিত
লাঞ্ছিত সকল খানে
নিবিড় আড়ালে কেঁদে বুক ভাসাও
মানুষের কথা শুনে।


ক্লান্ত দেহে  ফিরে আসো ঘরে
অপেক্ষায় নেই কেহ
রোদে পুড়িয়ে কয়লা করেছো
সোনার মত দেহ।


দুপুর বেলায় জল ভেজা ভাত
মরিচ পিয়াজ খাও চিবে
সংসারের আলো জ্বালাতে গিয়ে
তোমার আলো যায় নিভে।


জিরিয়ে নিতে ঘুমিয়ে পরো
গাছের শিকড়ে গুজে মাথা
ধুলো বালিতে মাখামাখি হয়
বিছানা হয় ঘাস পাতা।


কোদাল কাস্তে লাঙ্গল ঠেলিয়ে
ফসকা পরে দু হাতে
কত নিশি যায় উপবাস কেটে
খাবার মেলেনা পাতে।


উত্তাল নদীতে ভাসাও তরী
সাহসী তুমি মাঝি
জল তরঙ্গে ডুবডুবি করেও
জীবন রেখে দাও বাজি।


ভোরের কুয়াশায় চারিদিকে ঢাকা
তোমার নেই অবসর
দায়িত্বের বোঝা ঘাড়ে বসেছে
মাইনে হীন সংসার।


ঠকঠকে কেঁপে শীতের প্রকোপে
তবু ও নামো জল কাদায়
মাছ ধরিয়ে হাটে বেচিয়ে
কিনবে ক্ষুধার সদাই।


লোকাল বাসে ঝুলিয়ে চলো
বার বার দেখ সময়
দেড়িতে ঝারিবে বড় সাহেবে
ভেবে মরো সংশয়।


মালিকের ঝারি ঘরেতে নারী
সব খানে তোমার দুখ
অবসরে তাই একা একা বসে
কেঁদে ভাসাও দু-চোখ।


ভাল পোশাক পরোনী তুমি
খাওনি ভাল খাবার
যা জোটেছে তাই নিয়ে সবাই
ভাগাভাগি করেছো আহার।


চারজনে মিলে তুলে দেয় মাথায়
ভারী ভারী কত বোঝা
ব্যাথার যন্ত্রণায় ছটফট করো
হতে পারোনা আজ সোজা।


রোগে শোকে তোমার নেইকো ছুটি
ঠেলে যাও জীবনের ঠেলা
বুঝোনী তুমি কখন যে তোমার
ডুবে গেছে শেষ বেলা।


শেষ প্রান্তে এসেছো তুমি
তুমি বড় আজ একা
বিছানায় শুয়ে ছটফট করো
কাউরে পাওনা দেখা।


নিজের কাছে প্রশ্ন করে ও
হেরে গেছে সকল যুক্তি
বিধাতার দিকে চেয়ে আছো
কবে হবে তোমার মুক্তি।