তোমার ললাটের ঘাম দিয়ে-
এনে দিয়েছিলে মাকে সুতির শাড়ি
মুক্ত ঝরা হাসির বদলে
মা মুছেছিল তোমার ঘর্মাক্ত দাড়ি।
তোমার হাতের ফোসা দিয়ে-
গেথে দিয়েছিলে মাকে বকুল মালা
উল্লাস হারা করুন নয়নে
মা অনুভব করেছিল অরুন জ্বালা।


সেবারের কথা মনে পড়ে বাবা-
যেদিন তুফানের রাত ছিল।
উদাসিন একজোড়া চোখ  উপেক্ষা করে-
তোমার অবাধ্য অঙ্ঘ্রির ছুটেছিল।
তুফান তো থেমেছিল অচিরেই
থামেনি তা, ধড়ফ্ড় করা মায়ের বুকে
বিজলীর বেগ বুঝেছিলে কি-
যেই ছুটেচলা ছিল তোমার দিকে?


শুনেছিলাম তুমি মাকে দিয়েছিলে-
দুহাত সমান লম্বা সফেদ চিঠি।
সে চিঠি পেয়ে কেউ পারেনি থামাতে,
মায়ের উদান্তক কান্নাকাটি।
বিচ্ছেদ তোমাদের পোড়াত
ঠিক পাহাড়সম যন্ত্রনা।
বিরহ তোমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে-
জাগিয়ে দিত প্রেমের অমর মন্ত্রনা।


আজ তোমাদের ভালবাসার গল্পই
আমাকে জিয়ন কাঠির মত পথ চলায়
আমিও চিঠি লিখি,উড়িয়ে দেই খোলা আকাশে
আমিও ফোসা তুলি হাতে সুইয়ের ফলায়।
আজও একই তালে চলছে আমাদের সংসার
সেপার থেকে এপারেও ভালবাসার বাগান বুনি
চরিত্র বদলে আমি আর সে
শরতের মেঘে বুনি, মন মহুয়ার সফেদ ছাউনি।