বিপাস- তুমি কী জানো?
মেঘ ঢাকলেই চাঁদ আরও যুবতী হয়
ঈশ্বরী- জেনে কী হবে, যার জীবনে রাত
আসে না চাঁদ নিয়ে তার ভাবনা কী?
আমাকে সারাদিন তাড়া করে সূর্য,
রাত কেবল নিদ্রা ও প্রহরার
উপলক্ষ্য।
তার চেয়ে বলোতো উপেক্ষা কী?
বিপাস- তুমি বল:
ঈশ্বরী- উপেক্ষা নদীর বাঁকের জল, যে
পলিমাটি নিয়ে চলে যায় আর ফেরত
আসে না।
বিপাস- না, উপেক্ষা হল অপেক্ষার অপ্রাপ্তি।
ঈশ্বরী- অপেক্ষা কী তাহলে দুঃখ মুখী?
বিপাস- অপ্রাপ্তি দুঃখ হলে, অপেক্ষার দায়
আছে।
ঈশ্বরী- প্রাপ্তির সাথে অপেক্ষারওতো মৈত্রী
আছে,
বিপাস- সে মৈত্রী অপেক্ষার একপক্ষীয়।
প্রাপ্তি মূলত মৌলিক।
ঈশ্বরী- আচ্ছা, পাথরের কি প্রাণ আছে?
বিপাস- আছেতো, পাথর হল সমাধিস্থ প্রাণ
দীর্ঘ সচল জীবন পার হয়ে পাথর
আজ বোধিসত্ত্ব।
ঈশ্বরী- তাহলেতো পাণীর প্রাণবায়ুর দরকার
নেই।
বিপাস- প্রাণীর মূল অন্তপ্রাণ। যা রূপান্তরক
সময় যেমন পরিবর্তনকে গোনে,
তেমনি প্রাণ গোনে সতন্ত্র সত্তা।
ঈশ্বরী- মানুষের জীবন নিয়ে কিছু বল
বিপাস- মানুষের পুরো জীবনটাইতো একটা
দিনের মতো, রোদের মতো যৌবন।
কেউ কেউ জীবনকে নদী বলে, ভাঙা
গড়া মিলায়। তার থেকে জীবনকে
জল ভাবা ভালো
জল কেবল নিম্নগামী জীবনের মতো
তোমারা যাকে বল পতন।
উত্থান অবাস্তব নয়, তবে বিপক্ষে
যেতে হয় অভিকর্ষের,
অনেক সময় অস্বীকার করতে হয়
খোদ ঈশ্বরকে।
ঈশ্বরী- জলতো নারীর জীবন। পুরুষকে বরং
আগুনে মানায়।
বিপাস- মানুষের জীবনকে ভেঙ্গো না।
নারী পুরুষ কেবল বহিরঙ্গে, ভেতরে
সবাই ক্লীব।
১৩ ডিসেম্বর ২০২১