তুমি জানোনা জানোনা মাগো ,
সাগরের বুকে আমি কত বড় কাপ্তান।
তুমি জানোনা মাগো-
শুধু তোমার সামনে এলে এতটুকু খোকা হয়ে যাই-
যেন চুপটি মেরে বসে থাকা তোমার অবুঝ সন্তান ।


তুমি জানোনা জানোনা মাগো,
কার সাথে মোর নিত্য লড়াই ।
দস্যি ছেলের মত উত্তাল সাগরে -
কিভাবে দাপিয়ে বেড়াই।
মহা ঝড়, মহা সাইক্লোন ,
আমার খেলা ঘরে নিত্য নিমন্ত্রণ।
শুধু তোমার সামনে এলে এতটুকু খোকা হয়ে যাই-
যেন চুপটি মেরে বসে থাকা তোমার অবুঝ সন্তান ।


সাগরের বুক চিরে , মহা নীল ক্যানভাসে ,
কত শত ছবি একে যাই।
চোখের উত্তাপে, ঢেউ গুলো কেঁপে কেঁপে,
নিরুপায় দু'পায়ে লুটায়।
আমার পথ তরে, দিগন্ত সরে সরে,
আকাশ নতজানু সালাম জানায়।
চন্দ্রিমা আলো জেলে করে আহ্বান ।
শুধু তোমার সামনে এলে এতটুকু খোকা হয়ে যাই-
যেন চুপটি মেরে বসে থাকা তোমার অবুঝ সন্তান ।


সেদিনের গোধুলী বেলা, গায়েতে মাখাইয়ে ধুলা, আবার অপরাধী হতে চাই।
শাসনে স্নেহ ভরা, বকাতে মুক্তো ঝড়া,
সে আদর বল মাগো কোথা পাই।
সূর্য অস্ত গেলে, বিষন্ন তারার দলে,
তোমায় খুঁজে ফেরে তোমার সন্তান ।
সে পথ পায় না খুঁজে, মনের আয়না মাঝে,
তোমার আঁচল ভাজে,নীরবে লুকায় মুখ তোমার
-কাপ্তান ।
শুধু তোমার সামনে এলে এতটুকু খোকা হয়ে যাই-
যেন চুপটি মেরে বসে থাকা তোমার অবুঝ সন্তান ।


আদরে একবার বকা দাও মাগো,
অভিমানী হতে চাই সেদিনের মত।
তোমার শরীরে ঘষে , মুছে ফেলে সব রাগ,
করে যাবো দুষ্টুমি যত।
আসমান কাঁপিয়ে তুমি একবার ডাকো মাগো,
চোখের আড়াল হলে ডাকতে যেমন।
আমিও চিৎকারে, মাগো বলে বারে বারে ,
সমস্বরে ডেকে যাব, করোনা বারণ।
শুধু তোমার সামনে এলে এতটুকু খোকা হয়ে যাই-
যেন চুপটি মেরে বসে থাকা তোমার অবুঝ সন্তান ।