মৃত্যু নিয়ে আমি কখনোই ভীত ছিলাম না।


যারা মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়
তারাও জানে-
আশ্রয়ের খোঁজে জীবনলোভী মানুষ
ক্রমশ সেই মৃত্যুর দিকেই এগুচ্ছে।
তারাও জানে-
মৃতদের কোন অভিন্ন পরিচয় থাকেনা
একক শিরোনামে নিঃশ্বাস ছেড়ে লাশ হয়ে যায়।


আমি জানতাম, আমিও জানি-
আমাকে যারা অবরুদ্ধ করবে
আমাকে যারা গুলিবিদ্ধ করবে
তারা কোন ধর্মযোদ্ধা নয়
তারা আমার বহির্শত্রু নয়
এই জল মাটিতেই বেড়ে উঠা মানুষ।


তাই সামরিক লাটিচার্জ, টিয়ারগ্যাস,
জলকামান, বুলেট, ফাঁসি, ইকুইজিশন,
যমদূত- প্রত্যেককে আমি সেই
জন্ম থেকে স্বাগত জানিয়ে আসছি।


কিন্তু, আমার ভয় অন্য কোথাও!
আমার গন্তব্যে ভয়।
আমার ভয়- আমার মৃত্যুপরবর্তী
একটি সম্ভাবনাময় দিনের;
আমার ভয়- যদি না প্রথা ভেঙে
সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে যাই!


সেদিন আমার লাশ দেখে আতকে উঠো না।
হয়তো আমাকে দেশদ্রোহী সাব্যস্ত করা হবে।
আমার মৃত্যুর অনিবার্য কারণ হয়ে দাঁড়াবে
আমার আপোষহীন প্রতিবাদ।
আমার উপর আরোপিত হবে
রাষ্ট্রীয় দণ্ডবিধির সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ধারা-


"আমি এই ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল,
তথাকথিত এই
ছাপ্পান্নো শতাংশের অন্তর্ভুক্ত কেউ নই!"


১৭০৩২০১৮
প্রফেসর'স লজ।