সেদিন প্রথম কিলোরোডে দেখা;
খোঁপায় গুঁজে হলুদ গাঁদাফুল-
মাড়িয়ে গেলে শুকনো পাতা, ঘাস
মর্মরে কাঁপিয়ে বনের কূল।


চোখের দ্বিধায় জমলো কতো মেঘ
সব বুনোফুল পায়ে মাথা কোটে-
ছায়ার উপর রাখলে ছায়ামুখ
আলোর ডাকে আঁধার গেলো টুটে।


"কে তুমি? নীল নীলিমা পরী?
হয়নি জানা কোথায় তুমি থাকো?"
তুলির মতো আলতোরাঙা পায়
পথের বুকে কার ছবিটি আঁকো?


ডানা দু'টো কে দিয়েছে কেটে
আকাশ ছেড়ে কেন ধূলিরথে?
ভেবেছিলাম রাতের খসা তারা
হয়তো ভুলে হাঁটছো দিনের পথে।


তারপরে সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে
তুমি আমি কারুর দেখা নেই!
অলিগলি সারা শহরময়-
বাহানা করে খুঁজছি তোমাকেই।


ডি-বিল্ডিংয়ে টঙের মোড়ে রোজ
সকাল দুপুর সন্ধ্যা আসে ধেয়ে,
প্রহর গুণি- কখন উদয় হবে
শ্বেত বরণের শাড়ি-পরা মেয়ে।


অবশেষে ঘুচলো চোখের শূল
পয়লা ফাগুন এলো দেবীর বর,
যজ্ঞ পূজো মাথা ঠুকে প্রণাম
যাকে ঘিরেই এতো স্বপ্নঘোর।


অর্জুনতলা দ্বিতীয়বার দেখা
ফিসফিসিয়ে মৃদু হাওয়া বয়-
জ্যোৎস্নার শহর পুরনো নিবাস
নাম শুনেছি- তুষ্টি, স্নিগ্ধা রয়!


১৮০২২০১৮
অর্জুনতলা, সাস্ট।