কত দিন আর শরীর নামের ক্ষুধার্ত পশুটাকে
অভুক্ত রাখবে,
কত দিন যুদ্ধ করবে নিজের শরীরের সাথে,
কত দিন চাপা শীৎকারে ভাঙবে না লাজের আগল,  
কত দিন, কত দিন পারা যায়?


নিন্দুকেরা কি করে বুঝবে
প্রবাসে এই মরুভূমিতে আমার তৃষ্ণা
তোমার নরম স্পর্শের হাহাকার।
আমি ঠিক বুঝতে পারি কতটা যন্ত্রণা
তোমাকে রাতে ঘুমাতে দেয় না।


একলা বিছানায় শুয়ে চাঁদের সাথে কথা বলি
রাতের সাথে কথা বলি,
স্মৃতি যেন মরু বুকে মরূদ্যানের ছাযা ফেলে,
তাও কত দিন? নিন্দুকেরা জানে কত বছর হল?


কি করে জানবে,
নিষিদ্ধ যুবকের বুকে তুমি যে আমারই উষ্ণতা খোঁজ,
আমি যেমন বৃথাই মোহিনীর চোখে তোমার মায়া খুঁজি
নিষিদ্ধ লোবানে।তারা কি প্রেম দেয়?
না দিতে পারে তোমার মত?


কেউ না বুঝক, প্রিয়তমা আমার,
আমি জানি ঐ যুবকের বুকে তুমি
আমকেই খুঁজতে গিয়েছিলে,
হয়ত গিয়েছিলে শরীর নামের পশুটার ক্ষুধার তাড়নায়,
তাতে কি প্রেম মরে গেছে?
প্রিয়তমা, প্রেমের শরীর কি অপবিত্র হয়?


নিন্দুকেরা যাই বলুক,
আমি জানি, নিঝুম দুপুরে পুকুর ঘাটে
তুমি আমারই প্রতীক্ষা কর।
আমারেই দেখিবার তৃষ্ণায়,
তোমার চোখ শকুনির মত ধারাল, ক্ষুধার্ত।


খুব বেশিদিন আর নয়,
আমার প্রবাস জীবন সমাপ্ত হবে।
আমাদের একটা থাকার ঘর হলে,
ব্যবসার জন্য অল্প পুঁজি হলে,
সোনামণিদের পড়ালেখার একটা নিশ্চিত ব্যবস্থা হলে,
আমি ফিরে আসব, বাতাসের মত জড়িয়ে রাখব তোমাকে,
তোমার প্রতি প্রশ্বাসেও থাকবে আমার উষ্ণ উপস্থিতি।


নিন্দুকের কথা নয়,
প্রিয়তমা, তুমি আমার দৃষ্টি অনুভব কর,
আমি তোমার শরীর কে নয়,
তোমাকে ভালবাসি,
পাপ আর পুণ্য মিলে তোমাকে।