সৃষ্টি কর্তা যদিও একা নিঃসঙ্গ
তথাপি তুমি আর আমি যুদ্ধ করছি,
তিনি নিশ্চয় হাসছেন!
সৃষ্টির উল্লাস তার নিশ্চয় হয়!


সৃষ্টিশীল মানুষ তাকেও সৃষ্টি করেছে বহুরূপে
পাহাড়ের পাদ দেশে একরকম, সমুদ্রের ওপারে আর এক
মরুভূমিতে যেন সম্পূর্ণ আলাদা।
আর তারা নিজেদের সৃষ্টিতে বড় বেশি গর্বিত।
তারা যখন কাছাকাছি আসে যুদ্ধ বেধে যায়,
সৃষ্টির সৃষ্টি না স্রষ্টার সৃষ্টি,
কোনটা যে বড় হয়?
তিনি নিশ্চয় জানেন!


এই যুদ্ধে দেশ ভাঙ্গে সংসার ভাঙ্গে
তবু কি শেষ হয়?
মালতীদের গোপন প্রেম, গোপনেই হারিয়ে যায়।
সুনীলেরা এখনো কারও ভাই বা আত্মীয় হয় না।
তারা যেন ভিন্ন জাত, ভিন্ন সৃষ্টি কর্তার বানান।


তবে রাজনীতিবিদেরা এই বিভেদ কে তার দান মনে করেন
তাদের ভাগ্য আর ক্ষমতা যেন এতেই লেখা।
ঘর পোড়ে দোকান পোড়ে,
মালতীর কপাল পোড়ে,
আর ক্ষমতা, টুপি থেকে টুপি, টুপি থেকে ধুতিতে
ঘুর পাক খায়।


শুধু গাইবান্ধা বা দিনাজপুরে নয়
পুর ভারত বর্ষে, পুর পৃথিবীতে একই দাবানল,
যখন জ্বলে, তখন মালতীরা?
হায়! মালতী তোর কপালের সিঁদুর আর সুনীলের রক্ত
শেফালির হলুদ গাদার মত নরম শরীর,
না হলে দাবানল নেভেনা।


এখনো ফালানির প্রাণহীন দেহ
কাঁটাতারে ঝোলে!
তার সৃষ্টিকর্তা যে কে?
সেই সৃষ্টকর্তার কেই বা পরোয়া করে!    
তিনি তো সব রূপেই প্রণিপাত পান,
যুদ্ধে তার কিই বা ক্ষতি,
দাবানলই বা থামবে কেন?


সৃষ্টি কর্তা, তিনি তো মুখ্য নন,
আসল হল আমার আমি,
আমি যা করছি তা কি করে ভুল হয়?
ধুতির আমি আর টুপির আমি,
আমিতে আমিতে যুদ্ধ, আমিময় পৃথিবী,
সৃষ্টি কর্তা, তিনি তো নিরাকার,
অদৃশ্য, মৃত্যুর পরে প্রকট হবেন!
যখন বিশ্ব সংসার ধ্বংস প্রাপ্ত হবে!!