আমাদের বাস্তবতা হল,
আমরা সব শূন্যে ঝুলে আছি,
পা বাধা পরে আছে পৃথিবীর বুকে।
আমাদের স্বপ্ন, আকাশের নীচে আমাদের বসবাস,
আমরা স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকি,
শূন্যে ঝুলে থাকি না।


মালতীর সর্ব শরীরে তখনো
কামড়ের দাগ,
হিংস্র হায়েনার আক্রমণে হয়নি!
মালতীর বাবার ফাঁকা দৃষ্টি,
পুলিশ অনেক কায়দা করে বললেন,
আসামীর খুঁটিতে জোড় আছে,
উপড়ানো কি সহজ কাজ,
জলের মত টাকা আসবে,
আপনিও যদি কিছু না করেন,
মামলা ভেসে যাবে।

বাঁধ দিতে হবে, মালতীর বাবার
হৃদয় তখনো সচল ছিল, তাতে প্রতিশোধ এর আগুন
দপ করে জ্বলে উঠেছিল,
কিন্তু পকেটে, সেই আগুনে দেবার মত এক টুকরো কাগজও ছিল না।


ওসি সাহেব বেশ কায়দা করে বললেন,
শক্তিশালী মানুষ, আমরা তো আপনাকে সারাক্ষণ পাহারা দিতে পারব না!
তার থেকে ভাবুন, পঁচিশ হাজার টাকা
কত কাজে লাগবে,
ঐ টাকায় মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন,
কিছু নিজের জন্যেও থাকবে,
আমি না হয় বলে কয়ে পঞ্চাশ করে দেব।
ওসি সাহেব দয়ালু মানুষ, মালতী বোবা হয়ে শোনে,
ভাবে তার ইজ্জতের একটা দাম আছে তাহলে!
মালতীর বাবা মাটিতে পা ঘষে,
মালতী আকাশে ঝুলে থাকে না,
তার যে বাচতে ইচ্ছে করে।


এরপর একদিন মালতীকে আবছা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়,
লালায়িত চোখের খোঁজে,
সেই রাতে সে যার ভোগে যাবে তার খোঁজে,
চটি পরা অপরাধ,
খালি পা মাটিতেই মিশে থাকে,
আকাশে ঝুলে থাকে তার স্বপ্ন!