আজকাল নাটকীয়তা ছাড়া কিছুই যেন ভাল লাগেনা, উত্তেজনা, ট্রাম কার্ড এখন খেলায়, ভোটের মাঠে বিরোধীদের আন্দোলনেও, আমার জীবনে বাদ যাবে কেন? ত্রিভুজ প্রেমের টান টান উত্তেজনা, রিক্সার হুডের নীচে গোপন অভিসার, পাশের বাড়ীর মালতীর পাতলা শাড়ির নীচে অনাবৃত স্তন, অনিচ্ছাকৃত ভুলে সেই স্তন ছুঁয়ে যাওয়া সব যেন জাগিয়ে রাখে স্নায়ু কোষ, বেঁচে আছি ভাবা যায় সেই সময়।


বর্ণহীন একঘেয়ে পথ চলা, নয়টা পাঁচটার রুটিন, মাস শেষে টানাটানি,বিনদনের জন্যে উত্তেজনা কোথায়, স্টার জলসার নাটকে? রোজ পাঁচটায় টিভি সেট খুলে রাত এগারটা অবধি তাই গিলে খাই, বছর ঘুরে পেটে মেদ পাছায় মাংস বাড়ে, মধ্য বয়সে দুর্বল হার্ট। প্রতি মুহূর্তে উত্তেজনা কমিয়ে রাখ, উত্তেজনা কমিয়ে রাখ, সেই এক উত্তেজনা। এবার বেচে থাকার মজাটাই ভিন্ন। আগামী দিনটাই ইশকাপনের টেক্কা। পেয়ে গেলে তো জিতে নাও জীবনের সব আহ্লাদ।


পেট্রল বোমা বাড়তি বিনদন, হরতালে লোকাল বাসে ভিড় তেমন থাকে না, যেতে যেতে গলি পথে চোখ রাখি, মুখ বাধা কেউ দৌড়ে আসে, হাতে কাচের বোতলের মত কিছু, উড়ে আসে তারপর দ্রিম, মৃত্যু চিৎকার, প্রতিদিন একই দৃশ্যের প্রতীক্ষায় জীবন মৃত্যুর মাঝে দোলা, সেই এক উত্তেজনা স্নায়ুকে জাগ্রত রাখে। আর ব্যস্ত দিনে ট্রাফিক আইন কেউ মানে না, গাড়ি গুলো জোড়ে ছোটে দিক্বিদিক, কে কখন চাপা পড়ে কে বলতে পারে, ফুট ওভার ব্রিজ তবু খালি, গাড়ি গুলোর সাথে এক্কা দোক্কা খেলি। কানামাছি খেলি জীবনের সাথে।


সব উত্তেজনা যখন ভোতা হয়ে আসে, পানসে লাগে মালতীর শরীর, রাস্তা পার হতে বুক কাপে না, নির্লিপ্ত চোখে বোমার আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন শরীর টা দেখি, তখন বেচে আছি কিনা জেনে নিতে চাই, কষ্টের টাকা তিন তাসে লাগাই, হার্ট-বিট বাড়ে, কপালে ঘাম জমে উত্তেজনা জানান দেয় আত্মার উপস্থিতি।


তারপরও যদি বেঁচে থাকি, রুইতন হরতন ইশকাপন একই রঙের যদি লাগে, ইয়াবার বাদামি বড়িতে, সাদা পাউডারে, ইয়াবা সুন্দরীর বাহু বেড়িতে উত্তেজনা খুঁজি। উত্তেজনা আছে তো বেঁচে আছি। শান্ত জীবন মৃত্যুর মত লাগে।


আমি কি মানুষের প্রকৃতিতে পরি?