তিন তাসেই শেষ জীবনের পরিধি
প্রথম তাস জন্ম মাত্র দেখা হয়ে গেছে
টেক্কা তো নয়ই, রাজা, রানী, গোলাম ও নয়,
লাল কালো দুই থেকে দশেই সীমাবদ্ধ।
পাকা জুয়াড়ি হবার ভান করি
কাউকে বলিনা প্রথম তাস কি ছিল,
বঙ্গ আর গুলিস্তানের ফুটপাতে
আজকাল বিদেশি সাজ পোশাকের পসার বসে
তাতে ইজ্জতের কিছুটা ঢেকে যায়,
চোখের রঙ্গিন গ্লাসে ঢেকে থাকে আমার আসল পরিচয়।


ইশকাপন এর রানীই আমার পছন্দ
দ্বিতীয় তাসে তাকেই আমি চাই,
ইডেনের সাদা দেয়ালের ওপাশে বন্দি রানী হেলেন
আসতে যেতে প্রতিদিন তাকেই চুরির ফন্দি আটি,
ইশকাপন এর রানী
বদলে দেবে ভবিষ্যৎ, ইডেনের সাদা দেয়ালে বন্দি।
শেষমেশ দারোয়ান মামা ভরসা,
তাকেই ভাজ করি
আর আমার ভাজ খুলি,
ইশকাপনের রানী, আমার দ্বিতীয় তাস
হাসলেই, আজিম পুরের সব বাতি ঝলসে যায়।
সেই ঘোর বাসর রাতেই উবে গেল,
দ্বিতীয় তাস খুলে ফেলেছি
সেও লাল কালো দুই থেকে দশ।


আশা কি শেষ হয়
সরকারী চাকরি ট্যাক্স কিংবা পুলিশ
একেবারে ইশকাপনের টেক্কা,
পেয়ে গেলাম তো লাইসেন্সড
যত খুশি চাঁদাবাজি কর
সেটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব জনসেবার স্বার্থে।
চার বছর অনেক নাচন কোদন হোল
চোদ্দ পাতা লেখা হল
নারীর উন্নয়নে আমার মতামত,
সব শেষে বেরিয়ে গেল আমার  
তৃতীয় তাস দুই থেকে দশ।


আন সিনে তবু বোর্ড এ টাকা ফেলি
পাকা জুয়ারির ভান করি
এ হল জীবনের জুয়া
আমি আমার তিন তাসের খবর জানি
স্বপ্ন শুধু
সবার চোখে ধুলো দিয়ে পার পেয়ে যাওয়া!!