রমিজ পাগলার মাথায় আগুন
এই শহরের পোড়া বাতাস
তার ক্ষেপাটা মনে বারুদ ঢালে,
পেন্টের চেইন খুইলা সে পেসাব করে রাস্তায়
পেসাবের তোরে সে যেন ভাসাইয়া দিতে চায় শহরের সব পিচ ঢালা পথ,
দালান গুলো লাথি দিয়া ভাইঙ্গা ফেলতে ইচ্ছা করে,
বেশ্যার বাচ্চারা মা আর মাটিতে সম্পর্কটাই বোঝে না
প্রেমের নামে মাংসল শরীরে দাপাদাপি আর নানান রকম কসরত
মাগীরা তাই পেটে ধরে এই বেজন্মাদের ছাইড়া দিছে মাটিতে
তারা কেমনে বোঝে এই মাটি আর জলে আমরার সৃষ্টি।


মাগীর পুতেরা খাল ভোরে বিল ভোরে
ওর মায়ের ইয়ে ভরে
দালান তুইলা আকাশ ছুঁইতে চায়
রমিজ পাগলার ঝরের দিনের মত আউলা লাগে
এইখানে তার জমিন আছিল, ছোট্ট একটা পুকুর আছিল
একটুখানি উঠান তার চারিধারে কত সবুজ,
পাখির ডাকে রমিজ আলির ঘুম ভাঙত।
পাগলার মেজাজটা আবারো বিগরে যায়
মাগীর পুতেরা সেই পুকুর খাইছে, ঘর খাইছে
প্রত্যেকটা কুমারী গাছেরে ধর্ষণ কইরা জবাই কইরা মারছে,
সোনার মাটির গায়ে পলেস্তার দিয়া দালান বানাইছে
পিচ দিয়া পাথর বাইন্দা রাস্তা বানাইছে,
তেল পোড়াইয়া গাড়ি চলে, পাছা দিয়া ধুয়া ছাড়ে কালা...
শ্বাসে কষ্ট হয়, রমিজ পাগলা সেই কষ্ট বুকে নিয়া বাইচা থাকে
রমিজ পাগলা এই দিন দেখতে বাঁইচা থাকে।
আসমানের দিকে চাইয়া সে কাউরে কিছু বলতে চায়
বিড়বিড় করে, শব্দ হয় কিংবা হয় না
কেউ তা শোনে না
এই শহর পাগলা রমিজের অস্তিত্বই কখনো স্বীকার করে না।।


পুনশ্চঃ জরুরী কাজে দেশের বাইরে থাকায় এবং সেখানে ব্যস্ততার কারনে আসরে সময় দিতে পারিনি। সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি আজ থেকে আবার সময় দিতে পারব এব্ং আরও আশা করি সবাই ভালো ছিলেন।