কে আমায় বলে দেবে আর কতদূর যেতে হবে
গির্জায় শেষবার ঘণ্টা বাজবার আগে
অথবা রাত্রিতে রাত প্রহরী শেষবার বাঁশি বাজাবে যখন
অথবা মুয়াজ্জিন শেষবার যখন মুমিনদের জাগিয়ে তুলবে
তার আগে কতটা পথ বাকী?
চির অনিশ্চিত তাই তা নিয়ে ভাবে না কেউ।।


জন্মের সময় আমি যদি মুসলিম ঘরে না জন্মাতাম
তবে কি আর শিশ্নর মুণ্ডু কেটে জলাঞ্জলি দিতাম?
অথবা যদি আমার পিতার ঘর হিন্দুর ঘর না হত
আমি কি আর মানতাম পুনর্জন্মে বিশ্বাসের কথা?
না বিশ্বাস রাখতাম ঈশর পুত্র যিশুর উপর
যদি পরিবার আমার ঈশরে বিশ্বাস না রাখত।
নিরভানা আশাই জাগাত কি রূপে
যদি পিতা মাতা আমার মহামতি বুদ্ধের প্রতি সমর্পিত না হতেন।
জন্মই গেড়ে দিয়েছিল আমাদের বিশ্বাসের ভীত,
তারপর সেই বিশ্বাসকেই আমরা আধ্যাত্মিক জ্ঞান বলে মেনে নিয়েছি,
যে তর্ক আমাদের দাদুরা বাবারা শেষ করে যেতে পারেন নি
সেই তর্কেই আমরা এখনো থেমে আছি,
পরস্পর কে ঘৃণা করছি।।


আমাদের কিন্তু প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল
হয়তো করতেও পারতাম
যা জানতেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা
তারা একটা পর্দা গড়েতুলেছিলেন
একটা ভয়ের আবহ যে ভয়ের সত্যিকার কোন চেহারা নেই,
এক একজন তাকে এক এক ভাবে ভাবে,
আমাদের মনের মাঝের আমাদের সৃষ্ট সেই ভয়
আমাদের তাড়া করে ফেরে
আমরা প্রশ্ন না করে তাই বিশ্বাস করতে শিখি,
ভয় পেতে শিখি, এড়িয়ে যেতে শিখি
উত্তর গুলোও তাই আমাদের অজানাই থেকে যায়।।


প্রশ্ন ছুড়েই দেখ উত্তর ঠিকই ফিরে আসে
মানুষ ঠিকই জেনেছে এই পৃথিবীর কমলা লেবুর মতন রূপ, উপবৃত্তাকার কক্ষপথ
তাতেই দিবা রাত্রি আর ঋতুর খেলা,
জেনেছে, মহামারি কোন অভিশাপ নয়
জেনেছে পাখা মেললেই পাখি হওয়া যায়
বাতাসে ভেসে আকাশ জয় করা যায়।
কেবল কত গুলো প্রশ্নই
মানুষকে বিশ্বাস পেরিয়ে আরও অনেক দূর নিয়ে গেছে,
বিশ্বাস কর, প্রশ্ন রাখলেই তা উত্তর হয়ে ফিরা আসে,
সাহস করে প্রশ্ন কর
দেখবে এই পৃথিবীর কিছুই চির অনিশ্চিত নয়।।