তোমার বিয়ের কার্ডটা হাতে পেয়েছিলাম
কিন্তু কেউ আমার ঠিকানা লেখেনি—
তবুও কে যেন ফিসফিস করে দিয়ে গেলো
ভেতরের কণ্ঠে ছেঁড়া হাসির মতো একটা খবর।

তুমি বিয়ে করছো।

না, আমি ভেঙে পড়িনি—
আমি শুধু তাকিয়ে ছিলাম
শব্দগুলো কেমন করে আমার সমস্ত কবিতা মুছে দিলো দেখে।

“কনে: …”
তোমার নামটা ছিলো তাতে,
কিন্তু তার পাশে যে নামটা লেখা ছিলো—
সেই নামটা আমি কখনো বিশ্বাস করতে পারিনি।

তুমি কি জানো?
আমি কত রাত ধরে ভেবেছি,
তুমি যদি কোনোদিন কাউকে পাও,
সে হয়তো আমিই হবো…

কিন্তু কাবিনের কলমে আমি ছিলাম না।
আমি ছিলাম না নেমপ্লেটে, না নিমন্ত্রণে,
না আলোকচিত্রের পাশে দাঁড়িয়ে।
আমি ছিলাম না তোমার জীবনের অংশ…
আমি শুধু ছিলাম,
তোমার পেছনে থাকা কোনো নীরব জানালায়—
যেখানে এক কবি দাঁড়িয়ে ছিল
চোখের ভেতর একটা না-পাওয়া চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে।

তুমি হয়তো বলবে—
“ভালো থেকো…”
আর আমি বলবো না কিছুই।
কারণ, ভালো তো থাকতেই হয়,
যে মানুষ একজীবনে শুধু ভালোবাসা হারায়,
সে মরেও পুরোপুরি মরে না।