ওহে সুহাসিনী,
তোমার চোখের মায়া যেন রাতের আকাশে জোছনার ছোঁয়া,
তোমার হাসি প্রাণের মাঝে ঢেউ তোলে,
যেন দূর সমুদ্রের অজানা কোলাহল।

তোমার পদচারণায় যে মাটি উর্বর হলো,
তার সুবাসে বেঁচে থাকি প্রতিদিন,
তবু কেন তুমি দূরে সরে গেলে?
কেন এ বিরহের তৃষ্ণা দিয়ে গেলে?

প্রতি সন্ধ্যায় আমি দাঁড়াই,
পশ্চিমের আকাশে সূর্য ডোবার দৃশ্যে,
তোমার প্রতিচ্ছবি খুঁজে ফিরি লাল আলোয়,
মনে হয়, তুমি আসছো—
মনে হয়, আমার ডাকে সাড়া দিচ্ছো।

তোমার কৃষ্ণচূড়ার গন্ধে আজও আমি মাতাল,
তোমার নীল শাড়ীর নুপুরের শব্দ আজও বুকে বাজে,
তুমি কি জানো, সেই শব্দ এখনো আমার জীবনের সঙ্গীত?
তুমি কি জানো, তোমার এক ঝলক হেসে তাকানো
আমার সমস্ত ব্যথা মুছে দিতে পারে?

তোমার অনুপস্থিতিতে,
এই ভাঙা হৃদয় জুড়ে একেকটি স্মৃতির প্রহর গুনে চলি,
আমার প্রতিটি শ্বাস যেন তোমার নামের মন্ত্র,
তোমার নামেই আমার হৃদয়ের সুর।

ওহে সুহাসিনী,
তুমি কি জানো?
আমি এখনো অপেক্ষায় আছি—
এক চিলতে ভোরের আলোতে,
তোমার ছোঁয়া পাব বলে,
তোমার কৃষ্ণচূড়া ফুল হাতে ফিরে আসার আশায়।

আমার এ অন্তিম বাসনা,
তোমার চোখে যেন একবার দেখি আমার পৃথিবী,
তোমার ঠোঁটের মিষ্টি হাসিতে হারিয়ে যাই।
তোমার স্নিগ্ধ সুরভিতে হৃদয় ভরে যাক—
তুমি এসো, প্রিয়তমা, একবার ফিরে তাকাও।




১১/০৬/২০২২- সম্পুর্ণ অংশ লিখে হয়েছিল