যদি ফুলেরা জানতো আমার হৃদয়ের ব্যথা,
তারা যেন ঝরিয়ে দিতো অশ্রু, ঝরে পড়তো অনন্ত প্রথা।
গোলাপের পাপড়িতে হয়তো খেলা করতো বিষাদের রং,
যতটুকু কষ্ট, ততটুকু হয়ে উঠতো তাদের বেদনাপূর্ণ সংগীত।
নাইটিংগেল আর শ্যামারা জানলে যদি কেমন দগ্ধ হয়ে যায় মন,
তারা গাইতো তাদের গান আর বেজে উঠতো আরও একটি হৃদয় থেকে এক নতুন রাগ।
কণ্ঠে বোধহয় জড়িয়ে থাকতো সান্ত্বনার মাধুরী,
এবং প্রতিটি সুরে মিলতো বিষণ্নতা ও ভালোবাসার এক অনন্য গাঁথা।
সোনালী তারা দেখলে যদি কষ্টের এক অশ্রুপথের চিহ্ন,
তারা নেমে আসতো, একতারা হাতে, মৃদু ভাষায় বলতো, "চল, তুই একা নয়, আমি আছি।"
তবে তারা কেউ জানতো না, আমার এই যন্ত্রণা,
এটা শুধু এক প্রাণ, এক দৃষ্টি, এক রূপ—সে জানে কেমন লাগে হারিয়ে যাওয়ার ক্ষণ।
একজনই তো জানে, কার হৃদয়ে কত টুকু অন্ধকার,
এমনকি রাতের সুরেও তারা শুনে না, কেউ বুঝে না আমার ব্যথার নিঃশব্দ কথা।
কেবল সে যে চুরি করে নেয় হৃদয়, ফিরে দেয় ক্ষত,
তার কাছে এসব কষ্ট—তবুও সে যে বারবার চায়, অবিরত!