আমি তো উপবেশন করেছিলাম প্রতীক্ষার মন্দিরে,
অবগত ছিলাম না কবে সে আসিবে আঁধারের তীরে।
জীবনের পটপরিবর্তনে এমন চিত্র আঁকিবে,
এ যে এক মহাস্বপ্ন, কে জানিত এমন হইবে?
কিন্তু সে তো নহে কোন অপ্সরার রূপ,
যার মোহনায় ভাসে হৃদয়ের ধূপ।
তাহার গুণগরিমায় আমি হই বিমোহিত,
চেতনার কুঠুরীতে সে প্রজ্বলিত করে আশার দীপ্ত।
সে যেন কালো মেঘের এক গূঢ় রহস্য,
যাহার ভারে বিহ্বল হয় আকাশের ব্যস্ত।
পূর্ণিমার আলো যবে ম্লান করে তাহার ছায়া,
তথাপি হৃদয়ে জাগে প্রেমের উষ্ণ দয়া।
অবগত নহি, এ প্রেম কি নিখাদ স্বপ্নের নীড়?
নাকি শুধুই প্রতীক্ষার মধুময় জাল বিস্তীর?
তবু প্রতীক্ষায় থাকি, সুধার আকাঙ্ক্ষায়,
জীবনের সকল বেদনায় যেন সে রহে ছায়ায়।