জরা-জীর্ণ, মৃত প্রায় ধরনীকে
শত দিবস রজনীর তিক্ততাকে
ধুলিসাৎ কর ক্ষণিকের মাঝে
কালবৈশাখী ! কালবৈশাখী !
নব বার্তা বাহক--
তুমি বিনাশকারী বাসরি!!


ভেঙে দাও এ ধরনীর ঘুম,
জড়তা ভরা যত অলসতা নিঝ্ঝুম,
উন্মাদ করো, ওঠাও তুফান
কর গতি সঞ্চার---
চিরে- ফেড়ে যাক জমিন আসমান।
কর ধ্বংস, ভেঙে চুরমার,
জানি কালবৈশাখী তুমি দুর্বার !!


তুমি অগ্রদূত, তুমি নবযুগ
তুমি ধ্বংস, তুমি নবমুখ!
তুমি অচলকে সচলিত করে পাও সুখ!
তুমি নিরাময় , নিবারিত কর--
এ ধরনীর দুখ।
তুমি নটরাজ, ধ্বংসের 'পরে
নব সৃষ্টির উল্লাসে--
তুমি চির অপরুপ !!


জানি  তুমি অশনি সংকেত,
কালনাগিনী, প্রলয়রাজ !
তব সুরে মোর মিলাও সুর-
মিটাও আজি এ মনের সাধ !!
জানি তোমার ঝটিকাতে -
শিহরিত যত কূঞ্জবন-
প্রেমাঙ্কুর আজ হৃদ মাঝে,
রোমাঞ্চিত বৃন্দাবন।


ঝরে যাক মোর পূরনো ব্যথা
জরাজীর্ণ হলদে- পাতা।
নব প্রেমের কুঞ্জবনে-
রচিব নব মিলন গাথা।
বসন্তের ঐ অশান্ত হাওয়ায়
জীবন মোর জীর্ণ- মরু প্রায়-
তাই, পশ্চিমে আজ হাতছানি পায়,
বৈশাখী'র ঐ বাদল ঘনঘটায়।