রন্ধনশালা ও বাসগৃহের মধ্যিখানে
যে ফাঁকা জায়গাটি ছিল
মধুশালী আমের চারা এক সেখানে
পুতেছিলেন আমার পিতৃদেব ,
গোবর জল আর মাছের আঁশ চাপানোয়
পুষ্ট হচ্ছিল সেটি মায়ের মিষ্টি হাতে
আমিও তখন শিশু,
সে বড় হল
আমিও ,
গন্ধমাখা মুকুলে শরীর ভারী হয়ে এলে
মা আদর করতেন আরও বেশী
আরো যত্নআত্তি আরো খাবার
অনেক ফলিক এসিড আর আয়রন বড়ি,
বৈশাখের শেষে একদিন প্রসব হল অনেক আম
এত্তবড় কত্ত স্বাদ ,
দপ্তর থেকে একদিন বিশারদ এলেন ,
বিশ্বজুড়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সংবাদ দিলেন ,
কত তত্ত্ব দিলেন তিনি বৈয়াকরণের মতো
বুদ্ধি দিলেন , সার দিলেন , অষুধ দিলেন
বললেন আম এখন ব্যাকডেটেড ;
পোস্টমর্ডানের আশায় রইলাম মুখিয়ে ,


পরের বৈশাখে আবার সে পোয়াতি
আবার হল প্রসব
যা হল আমই হল সব ,
এত তত্ত্বেও জাম বা জামরুল তো হল না ,
হবেই বা কেন
আমরা কেউই জাম-জামরুল চাই নি ,
চেয়েছিলেম আম হোক বারে বারেই
আর আমরা মুগ্ধ হয়ে বাকরুদ্ধ হব !