রান্নাঘরে পা টিপে টিপে ঢুকে দেখি
মা পেছন ফিরে আগুনের আঁচে লাল
কড়ার ফুটন্ত তেলে একান্ত মনোযোগে
আলুবেগুনের শরীর পোড়া যখন দেখছে
হাঁড়িতে ঢুকি শিলনোড়ায় ঠোকাঠুকি খেলি
নুনের রং হাতে লাগিয়ে নিয়ে জিরের বয়ম
অনেক শুকনো লংকা জীবনের প্রান্তে ঝুনো
পাশে এক শিশি শরীরজ্বলা সরষে-তেল
দেখছে আর দাঁত কেলিয়ে হাসছে যেন
আমি হলুদ মাখামাখি হলুদ হয়ে যাই
ফিরে হলুদ লিখবো হলুদ দেখবো বাড়ি
যে রান্না কখনো কোন রসিক চাখবে না
ছুঁয়েও দেখবে না কোন উত্সাহী কবিরাজ
আলুনি আঝাল বিস্বাদ থালা যাবে গোয়ালঘর


আমি তাই শুকনো লংকাই হবো
তেল ঝাল মশলায় পোড়াতে হবে জীবন
তীব্র কটু গন্ধে আমার পাড়াসহ চরাচর
ভীড় করে জমায়েত হবে ভোজনরসিকের
আমাকে লংকা হতেই হবে রাঁধবার আগে
মাকে লুকিয়ে নামতে হবে আমাকেই
তপ্ত কড়া উদ্দাম তেল আর লালাঝড়া পাকে
আমার লংকাজীবন কাজে লাগবে কোথাও ।