কোন এক বন্ধু বলেছিল আমার
কবির মুখ দেখলে কবিতা বোঝা
নাকি অনেক আসান হয়ে যায়
আসলে কবি নয় কবিতা দেখলেই
কবিটার চেহারা সামনে ভেসে ওঠে :
বেশ নাদুশ-নুদুশ গালে অফুরান মাংস
নায়কোচিত সুঠাম অথবা পেটমোটা
পেছনভারী অনেকটা গন্ডারের মতো
যাদের একবেলাও ভাতের ভাবনা নেই
খুব গরমে এসি এয়ারকুলার বা
নিদেনপক্ষে বিজলি পাখা
বিকেল-ঘুম রাতে স্বপ্নের ঢেকুর
নরম শয্যায় বৌয়ের নদীবক্ষ শরীর
আর গরম শ্বাসের ঘ্রাণ
তাদেরই তো রাতঘুমের শেষে
কবিতা আসবার কথা
নাকি ফুটপাথের হাতপাতা ছেলেটা
বা নিঝ্ঝুম স্টেশনের আলোআঁধারীতে
কামরোগী পুরুষের বারবার কামড়খাওয়া
আধান্যাংটো অবোধ মেয়েটা
কবিতা লিখবে বন্ধু -
কখনো কখনো অদ্ভুতভাবে আমরা
অজান্তেই সত্যি বলে ফেলি !