সন্ধ্যারাতের অস্তরাগের চাপড়ামারি থেকে বলছি -
গোটা একটা  সরীসৃপ অন্ধকার ভেঙ্গে এসেছিল কাল
সার বেঁধে আমরা চাঁদ দেখছিলাম দ্বাদশী কার্তিকের
আমাদের নেতা দিগ্গজ সর্দার তার বিরাট ভুঁড়ি নাচিয়ে
ক'টা ছেলেপুলে নিয়ে সর্পিল লাইনে গিয়ে দাঁড়ালে
নেতার যেন নেতাগিরি বাতিক হয়ে যায়  ;
সদ্য দাঁতাল কালো ছেলেটা ষোড়শী সুন্দরীর পেছনে
বেহায়ার মতো লেগে আছে সারাটা দিন
নাবালিকা মুন্নি মায়ের পায়ে পায়ে হাঁটছে টালমাটাল ;
এগুলো দেখে দেখে যখন আমি বিবাগী হবো ভাবছি
বীভত্স সে দানব এল ভয়ঙ্কর কুমিরের মতো হা করে
জখম নেতা লুটিয়ে ছিঁড়ে লেগে রইলো সেতুর ঠিকানায়
অবুঝ প্রেমিক ছেলেটা থেতলে গেল লোহার ঘষ্টানোয়
ষোড়শী ঝোড়ায় ছিটকে জল খেল এক শরীর
আমার দেহের যেন তাল তাল রক্ত শুষে নিল কেউ
আজ দ্বাদশী কার্তিকের চাঁদ আবার হল লাল
আমার মৃত্যুর অর্ধশতকে দাঁড়িয়ে বাজি ফাটলো না কোন
শ্যাম্পেনে ছুটলো না একাধিক ফোয়ারা পাগল
ফাটলো কিছু তাজা প্রাণ ফোয়ারা কিছু রক্তের  
কিছু গোঙ্গানি কিছু আর্তনাদ কিছু কাফনের যন্ত্রনা


হাঁটু ভেঙ্গে ঈশ্বরের দিকে তাকিয়ে রইলাম সজল !