সে ছিল নবান্নের মধুগন্ধী বীথি
চতুর্দিকে দামাল পঞ্চাশ
তারই ফোঁপানো জলে ভেজা বাতাস
রাতে ক্ষুধার্ত শেয়ালের দিনে শকুনের দাপাদাপি
একদিকে উত্তাল বিয়াল্লিশ
পাশে দুরন্ত বাল্য ছাড়িয়ে ফুল ফোটার কাল
শান্তিমাসির বিয়ে হয়ে গেল যৌবনের প্রারম্ভেই
ফরিদপুর থেকে কাউনিয়ার পথ পেরিয়ে
ধল্লার তীরে সমুদ্র অনেক দূর
দূরদর্শী বর সব ছেড়ে-ছুঁড়ে দিয়ে
একটানে ওপার
শান্তিমাসির একা বৃদ্ধা মা আর জন্মভূমির শেকড়বাকড়
পঞ্চাশের আকাল সদ্য কৈশোরের ক্ষুধা মরে গেলে
হাঁটুর উপর কাপড় তুলে তাকে মাপতেই হোলো পথ
রয়ে গেল পিছে থেকে গেল সব তীব্র কামড়
অবোধ শিশুর আঁচল ধরা পিছুটান
জোছনা এড়িয়ে নদীর পাড় ধরে
শিকড়ের খোঁজে এক বৃষ্টিভেজা রাত্তির
এক বুক ফসলের ঘ্রাণ ছাড়িয়ে
ধানের ক্ষেতের ঠোঁটে
ফেলে আসা সেই সুগন্ধী সকাল
এখনো শান্তিমাসিকে রোজই মধ্যতিরিশে খুঁজি
খুঁজি হাতজোড়া আদর আর তার একবুক উত্তাপ -