দুধরঙ্গা থান বিছিয়ে রেখেছেন তিনি
জলরং মিশিয়ে কিছু তেলরং মিশিয়ে সেখানে
বড় পাথরের চাঁই তার আলোছায়া খেলা
বাদামী মৃত্তিকার আবহে উড়ন্ত ধূলিকণা
বাদল বাদল মেঘে জোছনার বেলেল্লাপনা
চিত্রকর দরদে দরদে ঢেলেছেন
তাঁর অন্তরের রসালো যত আভরণ
লম্বা ঘাসের উদ্ভিন্ন ডগায় ডগায়
চিত্রকরের শিল্পী হয়ে ওঠার চিহ্ন জড়ানো



বড় বড় পাথরের ফাঁকে আলো-আঁধারীতে
কিছু কীট কিছু পিপীলিকার সারিগান
রোদ্দুরে ভিজে হয়রান উড়ন্ত ফড়িং
ঘুমিয়ে থাকা শ্বাপদের ক্ষণিক বিশ্রাম
সূর্য ডুবছে ডুবছে একে একে দিনের শেষে
রঙ্গের খেলায় মেতেছে ত্রিভূবন
ভাটা জোছনায় ভিজে ভিজে নর এবং নারী
আজ একান্ত পথভোলা
শিল্পী এভাবে কবি হয়ে উঠেছেন



ধান শিল্পীর হাতে আর দুধ-সাদা নেই
অনেক রং সেখানে অনেক ঘ্রাণ দিয়েও
সেখানে সকালের স্নেহ সূর্যাস্তের হাহাকার
দিতে পারেন নি কবি
কবি পারেন নি
জোছনা-ভেজা নরনারীর দুঃখ ভোলাতে
ভাঁজে ভাঁজে লেগে থাকা প্রাণ
প্রেমের কোনো রং জলে তেলে
তিনি মেলাতে পারেন নি
বাকি রংয়ের কাজ ঈশ্বরের ঝুলিতে
তুলিতে স্বপ্নে আর মেধায় দেখার
বাসনায় জেগে থাকা এই জন্ম জন্মান্তর