বন্ধু, এ কোন মিথ‌্যে বল তুমি সুরে সুরে
বেহিসাবী কাব্য আমিইতো রচেছি
তুমি রেখেছ শুধু বানান ভুলের হিসাব।


পক্তির চরণে ছড়ানো সুবাস ফুল সম পরিনি কি গলে?
তবু কেন এত অভিমান?
কথার আড়ালে তবু কেন বাধ এত কাটা?


শব্দের বাধনে জড়ো করা ফুলে হয়নি তোমার পূঁজা, কেমন পূঁজারী আমি?
বর্ণের যঠরে যত্নের শীহরনে বেধেছি স্বপ্ন...


মিথ্যে কথা! কেন হাসাও প্রহসনে?
নয়নে মাখিয়া নয়নের রং তাকাও আমার চোখে
দেখিতেকি পাও?
সুনীল আকাশ, আদিগন্ত মাঠ, সবুজের মাঝে সূর্যের আকিঁবুকিঁ ?
বেধেছ কবিতায় ঝর্ণার জল তবু কেন পিয়াস জাগে, আমায় দাওনি বলে?


বাতাসে ছড়ানো পরাগ ধরেছি স্বস্নেহে আচলে দিতে সিঁদুরের ফোঁটা


আবার......
আমার সিঁথি শুন্য কেন আজও, বল কেন? কেন তাকাই তৃষ্ণা লয়ে বুকে?


কপোলে পরিনি অস্তরাগের বিমূর্ত আভা অজন্ম অধিকারে?
আমিতো দিয়েছি দুই হাত ভরিয়া চুম্মন আটিয়া পরান উজার করে
কেমনে জাগিব বল দীপাবলী হয়ে হাতে


তুলনা কেন? এ কোন ভাষা অপমানের?
শিউলি বকুল কুড়াতে পায়ে শিশির করেছি জড়ো, শিহরণ নিয়ে ভাবি কোথায় হারালো রক্তজবা, কপোল বিবর্ণ করে


উঠোনে গড়াগড়ি শালিকের পাখায় রোদের প্রথম ছড়ানো রং, সেও তুমি চাও; কিভাবে দেব আমি?


প্রভাতে রবির আড়মোড়া ভাঙ্গা হিজলের কঁচি পাতে হীরের খনি, যেভাবে দিয়েছ আনি
মুঠো মুঠো সোনা যেভাবে মিলায় গোঁধূলির আবিরে সেও আমার চাই।


এই! এদিকে তাকাও
একটু এদিকে, দেখি; লয়েছ কিনা তুলে
দোপাটি খোঁপায় আঁটি


হাত সরাও, ধরবেনা চুল;
ও কি তোমায় টানে?
কই দেখিনিতো!
দিব্যি রয়েছ ভুলে।
চাপা ফুলে উঠছে ভরে
তবু কেন শুণ্য আমার ডালি?


কথার কুলায় উড়িয়ে বাতাস স্বপ্নের নোনা জলে
গুনে গুনে কতো ঝিনুক তুলেছি
তোমাকে দেব বলে-


কোথায় রেখেছ বালি জমা প্রান্তরে?
আমায় ভুলানো খুব সোজা, তাই কথার উপমা আন-
ধুয়ে দাও মোর নয়নের জল, দূরে ঠেলে কাছে টান


এ কেমন কথা? তাকাও সাগরে-
জলের প্রতিটি কণা কিছুই কি বলেনা ঢেউয়ের তাড়ন মাঝে?
কান পেতে শুন শান্ত জলের করুন সুরের বাণী
আমার আকুতি মরমের ব্যথা, ঝিনুক জমানো পানি


লবন গোপনে ছাকিয়া আদরে বৃষ্টি ঝড়ানো জল
ঝিনুকের বুকে রেখেছ কি তুমি? বল অধরে নিরুচ্চারী
একি ভালবসা? চলার প্রেরণা ঘর? মরু প্রান্তরে প্রাকার রুধিতে বালিয়রী?


চুপ কর!
নাও অধরে তোমার অঝরে বৃষ্টিধারা
এসো ভিজি প্রতিটি ফোঁটায়।