ঢেকে দিয়ে মুখ, চীবুক, ধূসর ললাট
নেমে আস তুমি আমার নিথর বুকে
অলিক ঘড়ির টানে;
টান টান ভাললাগায় সারাটাদিন কাটে কত অভিনয়ে
অগুন্তি সময়ের ভিরে, নিরবে।
সরবে জানাও, দেহের পাষাণ ক্ষয়ে উবে গেছে অশ্রু জমাট মরিচিকা
প্রসারিত বাহুডোরে বাধা সিঁদুরের মেঘ এনে দিতে অমৃত ভীষণ বরিসনে।
বিরস নয়নে বসিবার নাই অবসর, অবগুন্ঠন সরে গেছে
সবুজ আচল বিছায়ে আঁক শয়ন শয্যা পরিপাটি করে
সন্ধ্যা তারায় পলতে জ্বালাবার দুর্লভ ক্ষণে।
আলো আধারির কানাকানি কি কথা বলে গোধূলির গায়, শুধাও আমায়
নিংড়ে নিয়ে শুষ্ক ঘামের ঘ্রাণ
শতবর্ণে জেগে উঠে সুখ হাতের ঈশারায়
সীমাহিন গন্তব্যে রচিতে আঁধার নিন্দ্রা
সোহাগের সুখে ব্যাকুল নয়ন কাঁদে;
ভুল করি জল ভেবে।
ঝড়ের মাতম গ্রীভার কাঁপুনি এলো চুলে ভেঙ্গে দিয়ে শালিকের বাসা হাওয়ার দোলাচলে
কোথায় লুকাবে হাসি
ভেসে এসে ঢেউ-এর তোড়ে অধরের কোল ঘেষে
চোখের শালবনে শান্ত আলোর জোনাকির বিচরণ
একটু থেমে, ম্রিয়মান হয় ভাললাগায়।