কান্নার রং লুকাব কোথায়
চোখে মুখে আছে সেঁজে
ছোট ছোট কথা গাঁথা সুখ-ব্যথা
বড় হয়ে মনে বাধে।


মনের ঘরের ছোট্ট দোকানে
সাজানো সুখের বাতি
আলো দিতে জ্বলে, ব‌্যথার আধাঁরে
কাঁপা হাতে সারারাতি।


পাশের দুয়ারে মানুষের মায়া
বিভেদ টানিয়া ঢেকে রাখা ছায়া
যাপিত দিনের বাণে
নড়ে উঠে মনে, বিদায়ের ক্ষণে
তীব্র ব্যথার টানে।


বিদায়ের বাঁশি মানেনা বারণ
অক্লেশে উঠে বেজে
উঠে হাহাকার, কি ব্যথা কাহার
কে বল কাহারে বোঝে?


চোখের নোনা জল ভাসায় কপোল
কন্ঠে কথার পলি
জমে থেমে আছে রুদ্ধ প্রভাতে
ক্লান্ত পাখার অলি।


নেই চোখে রং, পাখায় কাঁপন
পরাগ মাখানো ফুলে
মধু আজও আছে আহরণে তাড়া
গিয়াছে বুঝি সে ভুলে।


এখনও কতটা কাল রয়ে গেছে
তবু মনে হয় সকলই গিয়াছে
শূণ্যতা ঘিরে ধরে
তদ্রুপ আছে আশে পাশে যথা
তবু কেন জাগে মনে ব্যাকুলতা
একাকী বিরান ঘরে।


বোঝেনা শালিক মন ভেঙ্গে যায়
উঠোনে একা ডেকে
বুকের পাঁজরে চাপানো পাথর
হারাল কোথায় তার সহচর
কোথায় এসেছে রেখে?


অভিমানী গান কন্ঠে-বাঁধি
বেহাগের সুরে স্বরলিপি সাঁধি
কোকিল সখার লাগি
ফিরে ফিরে চায়
অভিমানে গায়
বিরহে সকাল জাগি।