অপয়ার বলয়ে যদি এসে পরে কেউ
কর্ণকূহরে শুনিতে সে পায় ঢেউ।
আছড়ে পরে এসে বুকে ধরে নিয়ে ক্রোধ
ভুল করে নিতে চায় মিছি মিছি প্রতিশোধ।
অফিসে গুনে গুনে আজ মোর তেরদিন
সুন্দরীর বুকে গোজা চোখে পরে আলপিন।
যদি তা বিঁধে বুকে কি হবে কান্ড
তা ভেবে কিছুক্ষণ হল মোর পন্ড।
যা হবার হোক তাই ভেবে বসে থাকি চুপ
কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে চকিতে যায় চোখ।
পাশে বসা সুন্দরী অফিসের বড় বস
এড়ানো যায়না আমার এই কসরত।
চোখে চোখ পরে যায় কাজলে আঁকা রূপ
দেখে আমি পুলকে ভাবে সে জ্বালি ধূপ।
বারদুই চেয়ে দেখে আমি চেয়ে আছি ঠিক
পাহারের উৎরাই যেখানে সমধিক।
লাঞ্চ হয়ে গেল ঠিক তেরটা ঘড়িতে
ফিরে দেখি বসে সে গোছানো শাড়িতে।
মনে মোর খচখচ এখনো আছে কি
ঐ খানে হতচ্ছারা শয়তায় পাতকী?
ঐখানে নেই তা গেল কই ভাবে মন
ডেস্কে কাজ চেপে চেয়েছিনু কতক্ষণ।
জানিনা হল হুশ কাজের তাড়াতে
নেই গতি ধীর অতি গতি হবে বাড়াতে।
অফিসে আজ মোর হয়তো শেষ দিন
তবু খোঁজে পেতে হবে ছোট ঐ আলপিন।
একস্থান হতে চোখ চষে সারা শরীরে
সময় গড়ায়ে গিয়ে বেলা দ্বিপ্রহরে।
পাহারের চূড়া বেয়ে নামে বেলাভূমিতে
লোকানো কি আছে ব্যথা সোনা জমা জমিতে?
শাড়ির আচলে ঢাকা ছোট ছোট ঘাসফুল
হাসে করে ফিসফাস মসৃণ তুলতুল।
ব্যথা তারে দিতে পারে স্পর্ধা এত কার
হোকনা দস্যু; শয়তান, অবতার।
কাজ জমে থাকে যথা সূর্য ক্ষমা চায়
যেতে হবে দূর ঘাটে তাকে পালতুলে নায়।
ডাক আসে দিন শেষে যথাচিৎ কর্ম
ফল ভোগে শাস্তি বলে শুনি ধর্ম।
সুন্দরী একা বসে দুরুদুরু কাঁপে বুক
নেই আজ নিস্তার, অপরাধ তছরুফ।
হয়েছে ব্যথা খোঁজে সুন্দরে সারাদিন
তাকাতে পারিনা চোখে, মুখে গুজি চারমিন।
ভুলের দাবানলে পুড়ে দেখি যায় বন
শান্তির পায়রা খোঁজে নাহি পায় শণ
শুণ্য সে ফিরে যায় কোন ছুতো পায়না
অপয়ার বেড়াজাল ছিড়ে ফেলা যায়না।


(আজ আমার ১৩তম দিন কবিতার আসরে। ১৩ সংখ্যাটি অনেকের কাছে অপয়া বলে বিবেচিত। তাই অপয়াকে আজ নিজের করে নিলাম। বি:দ্র: সারদিন ব্যাপি লেখাটি সম্পাদিত হবে।)