বন্ধুদের আড্ডার দোকানে বড্ড বেশী বেমানান আমি;
অচল পয়সা, পয়সার বাজারে
সত্যের আঙ্গীনায় অপাংতেয় ঠেকা মিত্থুক প্রবঞ্চক
কদাচ ঠকাতে বিকোই অন্ধকারে।
খৈণী অনভ্যস্ততায় কঁচি হাত পাকাতে নিকোটিনে অভ্যস্ত হবার ভান করে ওরা দেখি
হাতের কুলায় শুকে ঘ্রাণ
আমি ভাবি ছোট হয়ে আসে পৃথিবী প্রতি টানে
খৈণী সাটানো মসৃন ক্যানভাসের ছোট্ট শলাটির সাথে আগুনের প্রেমান্ধতা দেখে ভয় পাই
টিপ পরা ট্রিগারের অমোঘ সমন নিয়ে সামনে দাঁড়ায়ে মৃত্যু আমার
নাকের ডগায় তার সুরসুরি দেখি, ছুতে পাই।
লাউয়ের ডগার পেখম মেলা পালাই পালাই করা মঞ্জুরীদের সাথে ভাবের দেয়া নেয়া দেখি
দাঁড়াই তাদের পথের কোল ঘেষে। তারা যায়
এক রাশ সুরভি মাখিয়ে বাতাসে, ময়ূর নাচে পায়
ভারী জ্বালাতন ছন্দে;
নিতম্বের উঠুনে কত শালিক লাফায়
আমি দেখি।
আর ওরা প্রেয়সীর কাধে হাত দিয়ে ঘুমোয় চুইংগাম চিবুতে চিবুতে
আমি তখন বিমুগ্ধ ঐ এলাইত হাতের নিসপিস ইশারার কামাদ্র ঘামে
তির্যক চাহনের লেলিহান শিখায় পুড়ে খাগ হয়ে যায়
ভিতর, বাহির, বেস, ভূষা সব পুড়ে একাকার
আস্তাকুঁড়ের তলানিতে পরে থাকে এক রত্তি ছাই
বড্ড বেমানান আমি
আচল পয়সা পয়সার বাজারে
নেই দর-দাম
তুচ্ছ করে ফেলে রাখা অবহেলায়, তলায়।