উত্থিত ফণায় ধরে কটতা বিষ; নাগিনী সম্মোহিনী
প্রলয় মত্তে ঊর্বশী কূর্ণিশ বাকানো পেশী
টক্সিন সঞ্চারী মরিচীকা, উদ্দেলিত কণায় কণায়।
ফেটে চৌচির ক্রোধ
ছাপাং ছাপাং দোলন চাপার দোল বজ্রাঘাতের তড়িৎ শিখা
অহমি সিংহাসনে চেপে বসে রাণী, শ্বাপদ রোষে কাঁপে
সিংহলীজ সমূদ্রের সফেদ ফেনিল ঢেউ থামে,
জাগে হিংস্র উল্লাসে
টগবগে বিদেহী অমঙ্গলের বাসনা লয়ে।
হিমগ্লোবিন প্লাবিত স্রোত, তিতিরের হাসফাস ছড়ায় কণায় খুনে নোনা জলে
দক্ষ মজুরের প্রবল পেষণ তাড়নায়
রক্ত ছেকে তুলে আনে গরল বিন্দু যত
নিতে সংহারি হেলার আমোদে।
আজ নাহি আর নিস্তার, প্রলাপ বকছে মন
সব পূর্ণ হবে চূর্ণ
এ কঠিন নিনাদ
লোহিত স্রোতের সাম্পান চড়ে আসে প্রহেলিকা, আসে কুঞ্জটিকা
কাল নাগিনীর ছাঁয়া
ফিসফাস হিংস্র প্রবোধ কে দেবে কাকে?
লেখা হয়ে গেছে প্রায়শ্চিত্ত লিপি, লুকায়ে
রোধীবে তাহারে কে
সত্য বিনাসী ছিড়ে খোড়ে খায়, নেশায়
পিত্ত জ্বালানো দিশাহীন উন্মোত্ততায়।