জীবনের সব হিসাব চুকাতে গেছে আজ
হাতে হাড় জীবন্ত কাগজের ছবি
রক্ত মাংশ পরে আছে পাশে
জীর্ণ কাপড় শোভিত কাঠির মাচায়
মুখ ভেংচি কেটে প্রতিবাদ জানায় বিভৎস নিয়মের।


দাঁত কেলিয়ে থাকা চেলিকাঠের চৌকাগুলো হাঁকে
কত দাম দেবে বল, আমার শরীর মোড়ান কঞ্চির হালি?
গুনে গুনে নেবে সবকটি শুকনো করম্চার কাঁটা,
অস্তিত্ত্ব জুড়ে ব্যথার অনুভুতি, ভিতর বাহির সব ভেঙ্গে যায়
শুকনো ডাল ঝুর ঝুর করে ভেঙ্গে পরে টের পাই
জড়াজীর্ণ উনুনে এই গেল বলে তার অফুরান প্রতিক্ষায়
ভোরের রবি রক্তচক্ষু নিয়ে চেয়ে থাকে পূর্বাকাশে
সময় থেমে আছে যেন ছোট্ট খোপরি ঘরের নিভু নিভু পিদীমের কালচে শিখায়।


হারের মজ্জায় ক্লান্তি জড়িয়ে আসে
নতজানু শান্তি খোজে টেংরি ঝুলান পা
বসার ভঙ্গির সাথে মিলে যায়
উনুনে চাপানো ছন্নছাড়া প্লাষ্টিক।
হেটে যায় অন্ধকারের ছায়ায় মিশে যেতে যেতে
হাসে, কেউ ভাবে বাঁশের গায়ে বাঁশের মৈথুন প্রস্তুতি।