তুমি না আসলেই একটি স্বার্থপর!
যতবার বলেছি, আসনা ঘর বাঁধি বালুচরে;
ততবারই এড়িয়ে গিয়েছ, বলনি কিছুই প্রত্যুত্তরে।
প্রতীক্ষায় কেটেছে দিন, সময় গিয়েছে বয়ে
প্রহর গুনেছি, শুনেছি তর্জুনি উচানো শীষের টিপ্পনী
ধূম্রবায়ে বয়ে আসা কেতকী যেন,
বলে, কোথায় যাবে?
ধূধূ প্রান্তর চারিদিক, সামনে এগুলে পানি।
নিরুদ্দেশ বসে থাকা একা, নিভৃতে নিরালায়
ভিজে গেছে নোনা জলে ঈশৎ ছড়ানো পা,
মিশেছে রক্তে নিষিদ্ধ সাদা সোনা
স্বপ্নালু জেলিফিস সিফন সুতোয় বুনে দেয় বিষের কণা।
কি সুন্দর আভা, সফেদ ফেনায় তন্দ্রালু প্রলোভন
কালপুরুষের ঋজু রেখায় আলোর কাঁপন
হৃদয়ের গহব্বরে, সে তো তোমায় পাব বলে
কয়েকটা দিন একার করে।
বলুচরে ক্রমে ম্রীয়মান হয়ে আসা দীপালি দেখেছি একা
মেটেনা মনের পিয়াস, অবহেলায়, তুচ্ছতায়
মনে তোলপার, এবার তাকাবে তুমি
জেনে নিতে শব্দহীন ভাষার কথা।