অজিতেশ নাগ আমাদের সাথে নেই, তা যত অল্পদিনের জন্যই হোক। এ আমার কাছে এক গভীর শুন্যতা। তার এই শেষ বেলাকে কোনভাবেই আমি গ্রহণ করিনি। পঙক্তির অড়ালে তাই বাঁধার চেষ্টা করেছি।


শেষের আগে নহে কিছু শেষ
সে তো হল সবে শুরু
জীবন সায়াহ্নে কতকিছু বাকী
আঁক কষ যদি পার।
এ তো সবে হাঁটা গুটি গুটি পায়
আপনার আঙ্গীনায়
চুপিসারে শাখে খেঁচর প্রভাতে
ভৈরবরাগিনী গায়।
তার সুর ভাসে সুদূর নিবাসে
অনাহূত কাল ব্যাপি
ঝির ঝির বায়ে পত্র মুকুলে
উঠে তা শিহরে কাঁপি।
অতঃপর ত্বরা উঠিবে সুরুজ
পুবের দুয়ার জুড়ে
ভেসে যাবে জ্বরা ক্লান্তি বিষাদ
তেজ্য অসার কুঁড়ে।
পরে রবে পিছে তুচ্ছ ভাগারে
নিরুদ্দেশের নামে
যে জানে জাগিতে স্বীয় নাম ধরে
সেই রবে ধরা ধামে।
কিছু নাহি শেষ জাগিছে কেবল
শুক্লাদ্বাদশীর চাঁদ
আলোর চাদরে ঢেকে যাবে ক্লেশ
তবু কেন আর্তনাদ?
জেগে আছে সাথে তোমার সমুখে
সীমাহীন পথের ডাক
মিছে বাকি সব কাব্যে স্বপন
জীবনে জেগে থাক।