দেখি রোজ ভোরে সামান্য দূরে এতটুকু এক মেয়ে
খুব জোর সাত কিবা হবে আট বেশী নয় তার চেয়ে
ঘুম ভাঙ্গে তার দেখি রোজকার রুটিন রবির আগে
পাখির কূজন খুব মৃদুলয় এখনো জাগেনি সবে
ঘুম কাটেনি ছোট্ট মেয়েটির দু'চোখ মুদিয়া আসে
কথাছিল তার ঘুমোতে যাবার মাকে নিয়ে তার পাশে
কত অভীমান স্নেহের সোপান পেরিয়ে গ্রীভায় জমে
মা মা রবে উথলিয়া উঠে লোচন ছাপিয়া নামে।


বাবা গেছে চলে না ফেরার দেশে উপায়হীনা মা
দু'মুঠো ভাত শাক পাতা সাথে দু'বেলা জুটেনা
শহরের বাড়ি নেই খোঁজ কত খাবার রয়েছে পরে
শুধায় শহুরের অধুনিক নারী মায়েরে অভয় ভরে
মা মুছে চোখ আঁচল টানিয়া 'কেন গেছ তুমি একা?'
নিলেনা সাথে রেখে গেছ দিতে পরতে পরতে ব্যথা
নয়নের মনি হৃদয় ছেঁদিয়া কিভাবে ঠেলিব দূরে
লোচন ছাপিয়া বিচ্ছেদের বারি কপোল গড়ায়ে পরে
নাড়ী ছেড়া ধন অন্নের কারণ অপরে দিতেছি তুলে
তুমি গেছ তাই সবই গিয়াছে কিছু নাই দুই কুলে।


ফুলকুঁড়িটি ছেড়ে আসে বাড়ি আধোচেনা হাত ধরে
গোমরা মুখে রাজ্যোর মেঘ কালো হয়ে ভর করে
দুর্বাঘাসের পাপোষ পেরিয়ে ইট কাঠের জঞ্চালে
জাগিল তাহার প্রথম সূর্য চাপড় পরিল গালে
উঠে পর ত্বরা বাসন মাজিতে দেরি হয়ে গেছে আজ
তোর মায়ে শুধু গিলায়েছে ভাত শিখায়নি কোন কাজ
গায়ের জোরে উঠায়ে পারেনা বসে কাঁদে কল তলা
এইটুকু কাপড় কাচিতে কি তুই পার করে দিবি বেলা?
গলা শুনা যায় সচেতন নারী টিভি দেখে নাড়ি চুল
শুকায় এলায়ে আর দেখে চেয়ে কতটা করেছে ভুল।
পেট ভরে ভাত দেবে বলে কয়ে জোর করে নিয়ে আসি
হাভাতের খোটা দিয়ে আধপেট খেতে দেয় ফেলনা বাসি।


তারে দেখি আর কাঁদি মনে মনে একি মোর মেয়ে নয়
চাঁদের কণা মেয়েকে জড়িয়ে চোখ মুদি পাই ভয়।