এমন করে ডাক, ঘার ঘুরাতে পারিনা
চোখ মুদে আবার চাহিবার অবসের মিলায়ে যাও
কোথায়, অমলিমার অপার পান্তরে
যেতে যেতে উঠে সুর, সুমধুর কোন গানে
গোধূলীর সূর্য এসে সুরসুরি দেয় সুখের অভিমানে
আরক্তিম লাজে সাজানো কপোল কেড়ে লয় সব মনযোগ
আকাশের ক্যানভাসে রং এর মাধুরী বিছিয়ে
অথবা, চুমুর মত নিঃশব্দে সন্ধ্যা নামে
রংএ ছেলে মানুষি নিয়ে মেঘের অগচরে হারাতে কর আয়োজন।
  
ঈশৎ ঝুকানো মাথা, টান টান গ্রীভায় কিসের শিহরণ
শিরশির ভোরের পাতার গায়ে গায়ে, কেঁপে উঠে উত্তরে
আমায় নেবেনা তাই, না লেখা কবিতার পঙক্তি ছুঁয়ে নেমে আসে
বিষণ্ণ অন্ধকার, আবার কেন হাসে মন
প্রথম বৃষ্টির স্নান পাখিদের পাখায়
হীজলের পাতায় আঁক তোলা নতুন স্বপ্নের বাগান আমায় টানে নিরবে
নিয়ে যেতে নিরুদ্দেশ পথে।


না বলা কথার কাকলী মিশে যায় ঝর্ণার জলে
ছলাৎ ছলাৎ চলার সুরে তার কত কথা
পাথরের চাই কান পাতে, শুনে যেন নিতে চায় সব
তমাল তরুর কানাকানি ফুলেদের বুকে
মৌমাছির পাখায় বয়ে আনা পরাগের স্বপন বুনে দিতে কতটা ব্যাকুলতা তুলা থাকে বাতাসের ঘরে,
না জেনে ভুল বুঝি।
গলা ছেড়ে হাক দিই অথবা করুন সুরের আকুতি ঝরে পরে
পাড়ি দিতে মাঝ নদী।