তারার বাগান শূণ্য হয়েছে আজ
বিজলী হাসে, ডাকে মেঘ, পড়ে বাজ
কোথায় কে জানে এমন করে নাচে ময়ূরের মন
ফোঁটায় ফোঁটায় স্নেহঝরা অবয়বে করে আবাহন
উর্বশী মৃগয়ার সাথে, হিন্দোল রাতে, আমার মিতালী
ভাসে চরাচর, চন্দ্র নধর, জোছনায় জলকেলি
সব ভুলে গিয়ে, ধীর পায়ে নৃত্যে মজিব আজ, সব কাজ পরে থাক
হাতে হাতে ধরি, সবে সহচরি, নেমেছি বৃষ্টি স্নানে
পল্লব কুলায়, এক লহমায় থেমে যায়
ভাসে কূল প্রবল বানে।


ভয়ে কাঁপে মন, আনিলে কখন
কোন অদৃশ্য বলে, তোমার করতলে
সর্বহারা আমার আপন মুখছবি, তুমি দেবী
সর্বনাশী জেগেছে তোমার চোখে
জেগেছে ধ্বংশ, নৃশংস
পাগলপাড়া, ছন্নছাড়া বিবাগি কবি
হবে আজ পাষানের চাবুকে।


এখানে ফাঁদ, রাত্রিপোকার হবেনা প্রভাত
আলোর স্নানে জীবনের খোঁজ, মেলেনা রোজ
মিশে গিয়ে তায়, হুতি দিতে চায়
নিয়মের বাঁধ, নীতি, ধর্ম, জাত।
মুগ্ধ মৌয়াল পেয়েছে নিমন্ত্রন, নব্য আয়োজন কানায় কানায়
নয়নের বাঁক ভরা মধুর আরতি
ভ্রমরের শূল, ব্যথা দিতে নারে ভাঙ্গে ভুল
প্রফুল্ল কুসুমের শয্যা ঘেষে, মিশে গিয়ে সবিশেষে রাঙ্গাতে আলোর বাতি।


বুকের রক্তে, হয়েছে সিক্ত, নির্লজ্জ আমার দৃষ্টি
চাতকী চায়, চোখের খেয়ায়, ভাসায়, ভুলে যাই নিজ কৃষ্টি।
বোধের খেয়াঘাটে শিল্পীর পটে
একফালি কালির আঁচড়ে
কি দারুণ ক্লেশে, প্রেমের তাড়ণ শেষে
নমিত করে, লয় কেড়ে।
ছিন্নভিন্ন আমি, বিজীত আসামী
তোমার কম্পিত নয়ন লাজের তরে
সময় থেমে যায়, শুভ্র মালিকায়
স্তম্ভিত বসে নীথরে।