এক
রূপের হাটে রূপের খোঁজে
আমরা কজন একা
ঘুরি ফিরি আপন ধ্যানে
পাইনা রূপের দেখা।


দুই
বিরহে বিরহ চেপে পাষাণের ভার
নাশীতে জীবনে নিয়ে আসিবে আবার
গানে গানে মুখরিত সুন্দর দিন
রং এর মাধুরী দিয়ে করিতে রঙিন।


তিন
বন্ধু বলিতে নারি
এ যে বড় তাড়াতাড়ি
মনে নাই এত জোড়
থাকি দূরে দূরে সরে
যদি কভু অগচরে
ভুলে কাঁটি দুঃখের আঁচর।
তোমাতে জাগে দ্বীধা
আপনিই সিধেসাদা
বলে ডাকি সম্ভোধনে
সময়ের বৃত্ত ভেঙ্গে
যারা আসে কব্য প্রেমে
ধরি তারে স্বীয় আপণে।


চার
বিয়ের সাঁনাই বাজছে লয়ে
আয়োজনে নেই কম
পাত্র-পাত্রী অতিথী থরে
লোকে বাড়ি গমগম।
পাত্রী সাজাতে হল বেলা গত
পুরুত মাটিতে আঁকে
লগ্ন গড়ায়ে যায় বুঝি আজ
পৈতা টেনে উঠে হেঁকে।
কবিতার নাড়ে বাঁধা কজন
এল সকলে যেমন স্বজন
তাদের চোখেও জল
লগ্ন গড়ায়ে যায় ক্রমে ক্রমে
অগ্নি নিভিয়া মন্ডুপ কোনে
যৌতুকে হল তল।


পাঁচ
মধু মাসে মধু আসে ফলে ফলে ভরে
রসে ভরা মৌ মৌ থাকে চারিধারে
কাঁঠালের সাথে মিলে কাঁঠালি চাপা
কামিনী সুবাস লয়ে সাঁজে অপরূপা
সবার রসনা হয় তৃপ্ত জামে
বলিহারী তৃপ্তি পাই কত আমে।
কাঁচা আমে রুচি আনে ভর্তাআচার
খাবার টেবিলে থাকে শাক সমাহার
ফলরাজা আম দেখি কত শত নামে
দুধে ভেসে রসনায় তৃপ্তি আনে।