হাল ভেঙ্গে যাবে কি তোমার চিকন মেঘের ডাকে
একাকী দাঁড়িয়ে হে নাবিক তুমি ঘুর্ণিপুলক পাকে
স্রোতের টানে হাওয়ার বানে দুরুদুরু কাঁপে বুক
সমূখে নয়ন আশায় আশায় চেয়ে তবু অপলক।


পাহাড়ের গায় মাটি হরকায় স্খলিত পায়ের জোড়
দ্যুলোক নাচন নিজের জীবন চিকন দড়ির পর
এই বুঝি গেল মুছে আগুয়ান পদে আঁকা পথছবি
ধূষর তমোসার আর্তি অতলে সকালের ভৈরবী
আসে সকাশে কিরণ প্রকাশে তুলে ধরে পথ দিশা
থরে থরে পরে রক্ত কমল মৃত্যু ভাঙ্গার নেশা
ভয়ের চাদরে সলিলের বুকে নিপাট শয্যা পরে
বিশ্রাম নিতে আহ্বানে ডাকে বুকের অতলপুরে
ফেনিল ঢেউ এর সর্প ফণায় নিটোল বুকের বোল
মোহিত করে মুগ্ধ আমোদে চলার নাচের দোল।


আবার ভীষম ঊর্মি তাড়ন নায়ের খোলের পাটে
আসে মার খায় আবার আসে ভয়ের শিকল কেঁটে
ঝড়ের মাতম গগন ব্যাপি রূপের পসরা লয়ে
জীবন সুধা বেহুস লোচনে লুটে তায় অবাক হয়ে।


হাল ধরা হাতে নেই কোন বোধ অভয় আলোর শোক
নেই কোলাহল ব্যথার পাহাড় দৃষ্টি শ্যান অপলক
ঐ দূর পানে আঁধার ভেদিয়া দিগন্ত রেখার টান
মনে বাঁধা সুর গুনগুন গাহে অনড় প্রেমের গান
একা একা ডাকে বীক্ষত রাতে নতুন শাড়ির নারী
যৌবন ভরা গলার ভাঁজে পুষে রেখে কামবারি
সুবাসে মাতায় মহুয়ার বন ঝিরিঝিরি বাতায়নে
বসে নিরালে কপোলে তাহার পাট ভাঙ্গে চুম্বনে।


ফিরে আস তুমি তুচ্ছ করিয়া মৃত‌্যুর অমানিশা
প্রহর প্রভাতে তোমায় বরিতে জেগে আছে প্রত্যাশা।