হাত বাড়িয়ে দিলে আমার
ধরতে তুমি নবীন বুক
নিকষ কালো আঁধার মাঝে
রাত্রি চেয়ে অপলক।


দূর আকাশের আদুল গায়ে
চন্দ্রালোকের বিছান তল
ফুল ছিটায়ে সোহাগ বাড়ায়
তারার বাতির শতদল।


শীফন সোনার সূক্ষ তাঁতে
যত্নে বোনা শাড়ীর লাজ
ঢাকতে নারে ছলকে পরে
চিকন দেহের কোমল ভাঁজ।


জল তুলিতে শাণ বাঁধানো
ঘাট পেড়িয়ে তিক্ষ্ণ চোখ
আঁটকে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়
বিমূঢ হয়ে স্থবির চুপ।


জলের তলে কাসর বাজে
ছন্দে নাচে উতল সুখ
টুঁটলো বুঝি বালির বাঁধন
আছড়ে পড়ে ঢেউএর কোপ।


শিহরণে থর থর
গ্রীভায় জমে উঠছে ভার
দমকা শ্বাসের উষ্ণ বায়ে
সপাট খোলে অধর দ্বার।


স্পর্সে জাগে ভীসুভিয়াস
দ্বিগুন তেজে পুড়ছে ধূপ
বিমোহিত সুবাস কণায়
শিরায় শিরায় শীতল স্রোত।


চোখে পাতায় রাত্রি বাড়ে
ঘুমের দেশে স্বপন দৌড়
ওষ্ঠ্যে জমা হাসির রেখা
নিপাট জাগে সতেজ ভোর।