হঠাৎ কবি গেল চলে
পৃথিবীর মায়া ফেলে
কবিতার খাতা ছুড়ে দিয়ে বহুদূর
উঠিল রব তটে
ছিল এক কবি বটে
গঙ্গার চর হতে হিমালয় চূঁড়।
চরাচর কাঁদে শোকে
ভারী হয়ে আসে বুকে
গুণমনি হারাবার ব্যথার পাষাণ
আবার আসিবে কবে
এমন সাধক ভবে
সবাই দুঃখ করে করে গুনগান।
কেন সে গেল চলে
অভিমানের দোলাচলে
কিসের লাগি তার ছিল এত ত্বরা
কবিতার প্রাণের সখা
বয়ে নিয়ে গেছে একা
ভাষার গরিমা গেল রয়ে অধরা।


হীনবেশে ছিল যবে পাশা পাশি ঘরে
কখনও নেইনি খবর কোন অগচরে
দু'বেলা ভাতের চাল সেকি আনে রোজ
ক'বেলা উপস দিল কে রাখে খোঁজ।
কাজ নাই বিনা কাজে কথার ফানুস
বৃথাই বাতাসে ফুলায় কতই মানুষ।


বর্ণের ফাঁস গলে
তিলে তিলে পলে পলে
মায়া জালে লভে তীরধান
পৃথিরী ঝাপিয়া আসে
কুঁড়েঘর শোকে ভাসে
কবি মুচকি হাসে মনে ভানে গান।