হাজার বছরের প্রতীক্ষিত ছিল সে রাত
এ এক মহাপ্রলয়ংকারী আষাঢ়িয়া রাত
ভেতর থেকে খোলা ছিল ঘরের কপাট
মন চায়নি এ রাতেরও হোক প্রভাত;
এ ছিল বহু প্রতীক্ষিত বাসর রাত।


সে বসে ছিলো, ঘোমটাপরা
যেন স্বর্গ রাজ্যের কোন অপ্সরা
সুদূরপ্রসারী গ্রীবা, টানা টানা আঁখি
কিংকর্তব্যবিমূঢ় আমি, শুধু তাকে দেখি
আমি শুধু চেয়ে থাকি।

লাউয়েরডগা সদৃশ্য দুটি বাহুডোর
ত্বকের মসৃণতা, উরুর কোমলতা
ঘোমটা তুলে দেখি, এ আমার বনলতা
শুভ্র কাশফুল, তার মাথার চুল
আঙুল গুলো যেন গোলাপের কাঁটা।
আমি শুধু চেয়ে দেখি।


ধীর পায়ে তার কাছে গিয়ে দেখি
ঠোঁটের ছোট্ট কালো তিল, সুগভীর কালো আখি
কোমড়ে ভাজ হয়ে আছে লালপেড়ে শাড়ি
নাভি পাশে ছিল তার মসৃনতার বেড়ি
বুকে তার রঙিন স্তনাবরণ ;
নিজেকে আর করিনি সংবরণ।


মেঘজাল ছিন্ন করে, বৃষ্টি পড়ছিল
ঝরে যাচ্ছিল সে, আমি।


কখন যে হয়েছিল ভোর, আমি পাইনি কোন খবর
মোরগ ডাকেনি, কেউ কিছু বলেনি
এই ছিল আমার স্বয়ংসম্পূর্ণ, অনিমেষনেত্র বাঁসর।