তোমাদের নোংরা সমাজের নোংরামো,
দেখতে দেখতে আমার ঘিনঘিন করছে!
আমি কবিতার সাথে থাকতে চাই-
আমরা দুজনে বেশ ভাল আছি!
ঐ নীলিমার দিকে অপলক তাকিয়ে-
দেখি দিনের আলোয় উদ্ভাসিত ধ্রুবতারা;
তটিনীর বুকে ভেসে যাওয়া কচুরিপানা-
আমাকে ভীষণ কাছে টানে, ভালবাসে।
তোমাদের বিকৃত মানসিকতা,লোলুপ চোখ,
আর নষ্ট শরীরের সাথে মিশে যাওয়া ধর্ষিতা -
ভ্রষ্টাচারিণীর চোখের নোনাজল সাগরে মেশে!
যখন বাতাসে ভাসে অবলা নারীর আর্তনাদ
শুনি কুঁকরে যাওয়া দুর্বল নারীর বেদনাহত কাহিনী
তখন কষ্ট পাই, ভীষণ কষ্ট পাই!
ভালবাসাগুলো হয়ে যায় ব্যর্থমনোরথ
মনে হয় দূর আকাশে উদ্ভাসিত ধ্রুবতারা
সে কোনদিনই আমার ছিল না!
তেমনি স্বাধীনতা, সংবিধান শব্দগগুলো আমার নয়
ওগুলো শুধুমাত্র কাগজ কালির তৈরিকৃত স্তুপ!
তোমরা প্রহসনের স্তুপ চাপিয়ে দিতে পারো;
অথচ আমার কবিতা লেখার স্বাধীনতা নেই!
কখনো সে অধিকার কারও ছিল বলে শুনিনি!
যখন নিপীড়িতের কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙে
পচা-গলা লাশের গন্ধে মাতে ঘ্রাণেন্দ্রিয়
তখন মনে হয় মানবতার বানী মৃতপ্রায়!
মানবতা যেন কচুরিপানারমত ভেসে যায়!
আমার বাগানে আবারো ফুটবে সুবাসিত গোলাপ,
পাখি গাইবে, কূলকূল রবে নদী বইবে,
তোমাদের বধ করার জন্য সে আসবে,
তোমাদের ধ্বংস করতে সে অবশ্যই আসবে,
রণমূর্তিধারী সে! অতি নিকটেই তাঁর অবস্থান-
দশভুজা আসবে, অনতিবিলম্বে আসবে।
২১:১৩/২৪-৯-২০১৭