এই পাড়ায় এল একজন
পরিচয়- জর্জ ডেভিড কৃষ্ণ খাঁন!
দেখেই তাকে উঠলো নড়ে
পাড়ার বৌদ্ধ - খ্রিষ্টান, হিন্দু- মুসলমান।
এ যে- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টের
এক অভূতপূর্ব সংমিশ্রণ!
তেড়ে এল সব ধর্মগুরু
এ কোন পাপী ?
এভাবে করল ধর্মের অপমান!
" এ যে যেনতেন মানব নয়-
এ তো মানবরূপি শয়তান! "
পাড়ার ঠাকুর শ্রী হরিচরণ
একগাদা প্রশ্ন দিল ছুড়ে
অগ্নিশর্মা মুখের বরন
যেন এখনি ফেলবে মেরে!
" সময় আছে অল্পকিছুই
সব বলে দে একছত্র;
জাত কিরে তোর-
পাত কিরে তোর-
কিবা'রে তোর গোত্র?"
প্রশ্নোত্তর দেবার আগেই
উঠলো রেগে মোল্লা
তুই মুনাফিক, কাফির, মুশরিক
থাকবে না তোর কল্লা!
ধর্মের সাথে যুদ্ধ করে পারবি কি তুই বাঁচতে?
"যে করেই হোক বাঁচাবো ধর্ম -
তোকে মারবো হাসতে হাসতে।"
মুখ খুলতে যেই গেল সে-
রেগে আসলো গৌতি বুদ্ধ
"নাপাক করেছিস অহিংসামন্ত্র
নাফে ভাসিয়ে করব শুদ্ধ।"
ভীড় ঠেলে আসল এবার
জর্জ ডিসুজা নামের ফাদার
"কেনরে তুই ধ্বংস করছিস-
পৃথিবীতে ধর্ম নামের আধার?
তুই যে ব্যাটা শান্তিনাশী
তোকে কুপিয়ে করব সাবাড়!"
ফুঁসে উঠেছে সবাই ওরা
ক্রোধে শরীর কাঁপে থরথর
পণ করেছে সবাই মিলে
" এটাকে মেরেকেটে কর চুরমার"
হেসেহেসে বলল এবার
সেই অন্যরকম লোক-
" ধর্ম, বর্ণ সকলি আমার
শুধু শান্তি তোদের হোক।
ধর্ম রক্ষায় তোমরা কে হে!
কেন অগ্নিশর্মা চোখ?
মানুষ তুমি এটাই সত্য
নাও শান্তির বানী দীক্ষা।
এমন করে মানুষ মেরে
কোন সে ধর্ম রক্ষা?
যেই নামে ডাকিসনা কেন
সব ঐ একজনেরই হয়
তাকে নিয়ে কেন টানাহ্যাঁচড়া-
কেন করছিস রক্তক্ষয়?"
০৮:০০/১৭-১১-২০১৭
(সতী নদীর পাড়ে)