সবকিছু বলার বা করার দায়িত্ব
একার পক্ষে পালন করা, অনুচিত  
তাহলে, বাকিরা  অকর্মা হয়ে যাবে
যে যার অবস্থান থেকে নিজের কাজটা-
জি, নিজের কাজটাই করি, এটাই উত্তম পন্থা।
রাজনীতিকদের রাজনীতি করতে দিন
ব্যবসায়ীদের ব্যবসার রাস্তা প্রশস্ত করুন
খেলোয়াড়দের মাঠ প্রস্তুত করে দিন, তারা খেলুক।
মৌলিক অধিকার আদায়ের লড়াই যারা করে
তাদেরকে সেটাও করতে দিন___
নইলে রাজনীতির মাঠ থেকে খেলার মাঠ পর্যন্ত
ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ে কোনপ্রকার প্রসার ঘটবে না!


টাকা;
ছাপানো বন্ধ করতে হবে
টাকা না ছাপালে টাকা ছাপানোর খরচটাও বেঁচে যাবে
বৈদেশিক লেনদেনে ব্যবহৃত হবে চকচকে নোট


জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার,
এদেশের মাটি ও  মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চান?
তাহলে...
ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চিন্তা করুন
ডিজিটাল পরিচয় পত্রে আয়ব্যয় হিসেব নিকেশ হবে
কারোর হাতে রইবে না একটিও তরল টাকা।


দেশের সবকিছু সরকারের
তখন সকলে দেশের জন্য কাজ করবে
খাবে ঘুমাবে খেলবে গাইবে যা-কিছু করবে সব রাষ্ট্রের জন্য
যার যা ইনকাম সবকিছু জমা হবে সরকারি কোষাগারে


অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা
জনগণের মৌলিক অধিকার
রাষ্ট্রই সবকিছু পূরণে বাধ্য থাকবে।
আমার সবকিছু রাষ্ট্রের ঘাড়ে...
রাষ্ট্র জনগণের জন্য খাদ্য উৎপাদন করবে এবং নির্দিষ্ট ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার সকলের জন্য নিশ্চিত করবে,
মাথা গোঁজার ঠাঁই দেবে রাষ্ট্র,
ঘর ঘর সমাজ না করে প্রতি গ্রামে দুই থেকে চারটি এলাকায় বহতল ভবন হবে, সেখানেই থাকবে সে এলাকার লোকজন।
ঘনঘন বাড়িঘরের উন্নতি হচ্ছে ঠিকই, আবাদি জমিও তো বন্ধ হচ্ছে, হচ্ছে না?
কর্মক্ষম জনসংখ্যা বাড়াতে শিক্ষা দেবে সরকার...
প্রতি এলাকায় থাকবে হাসপাতাল
রাষ্ট্রই আমায় অসুস্থতায় চিকিৎসা দেবে...
ডাক্তারের হাতে এক টাকাও ফিস দিতে হবে না!
জনগণের সবকিছু দেবে সরকার
কেননা, পুকুর টিলা খাল পাহাড় সবকিছুই তো সরকারের কাছেই জমা রয়েছে
এখানে ব্যক্তিগত সম্পদ বলে কিছু নাই, সবই রাষ্ট্রের।


আর হ্যাঁ,
বছরে একটা মাস এখানে সেখানে ঘুরতে নেবেন...
দেশের ভেতর কিংবা বাইরে।